ওয়েব ডেস্ক: দেশ রক্ষা করতে গিয়ে আবার শহিদ জওয়ান। আবার, দেহ বিকৃত করে পালাল পাক বাহিনী। কতদিন আর এ ভাবে মার খেতে হবে? এ বার অন্তত পাকিস্তানকে দেওয়া হোক যোগ্য জবাব। বদলার দাবিতে ফুঁসছে দেশ। জ্বলছে শহিদের চিতা। ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে আসমুদ্র হিমাচল। আর কতদিন এ ভাবে মার খাব আমরা? এ বার সময় এসেছে জবাব দেওয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


শহিদের লম্বা লিস্টে আরও দুটি নাম। সুবেদার পরমজিত্‍ সিং। বিএসএফের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর। পুঞ্চের কৃষ্ণা ঘাঁটিতে তাঁদের হত্যা করে, দেহ বিকৃত করে পালিয়ে গেছে পাক হানাদাররা। জেনিভা চুক্তি, সভ্য দুনিয়ার নিয়মনীতি - কবেই বা আর এসবের তোয়াক্কা করেছে আমাদের পশ্চিমের প্রতিবেশী!




দুই পরিবারই শোকে পাথর। চোখের জলও যেন শুকিয়ে গেছে। পঞ্জাবের তরনতারন থেকে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া। অঙ্কের হিসাবে দুরত্ব অনেক। কিন্তু, নিয়তি মুছে দিয়েছে সেসবই। ওরা শহিদের পরিবার। গভীর শোকের মধ্যেই ধিকি ধিকি জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার পাক বাহিনীর বর্বরতার ক্ষত বহন করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।



মে-জুন, ১৯৯৯: কার্গিল যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া ও তাঁর সঙ্গীদের তুলে নিয়ে যায় পাক সেনা। অকথ্য নির্যাতনের পর তাঁদের বিকৃত দেহ ফেরত পাঠানো হয়।


জানুয়ারি, ২০১৩: জম্মু-কাশ্মীরে মেন্ধর সেক্টরে দুই জওয়ানকে খুন করে পাক সেনা। ল্যান্সনায়েক হেমরাজের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়।


অক্টোবর, ২০১৬: কূপওয়ারার মাছিল সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের আড়ালে ভারতে ঢুকে জওয়ানের দেহ বিকৃত করা হয়।



এই ট্রাডিশনের কোনও শেষ নেই। হেমরাজের মৃত্যুর পর রাষ্ট্র বুক ঠুকে বলেছিল এক মাথা গেলে আসবে দশ মাথা। কেউ কথা রাখেনি। বুকে আঁকড়ে ছেলের ছবি ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন শহিদের মা। শহিদ পরিবারের সঙ্গে আম-জনতার মনে আজ আর কোনও ফারাক নেই। জম্মু-লুধিয়ানা-আলিগড় সর্বত্র রাস্তায় নেমে পড়েছেন মানুষ। পুড়ছে পাকিস্তানের পতাকা। পুড়ল নওয়াজ শরিফের কুশপুতুল। উঠছে দাবি, পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিক ভারত। পশ্চিমের প্রতিবেশীকে তকমা দেওয়া হোক জঙ্গি রাষ্ট্রের।
 


রাষ্ট্রের গভীর কূটনীতি বোঝেন না সাধারণ মানুষ। তাঁরা শুধু জানেন, শহিদের বলিদান ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না। পবিত্র প্রতিশোধের ইচ্ছায় এখন আসমুদ্র হিমাচল। (আরও পড়ুন- প্রবল খরায় মাটি খুঁড়ে জীবন তুলে আনলেন কেরলের মহিলারা)