ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন টিপ্পুনির যোগ্য জবাব দিল ভারত। সাল ২০১৩, দিনটা নভেম্বরের ৫, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র উত্‍‍ক্ষেপণ করল 'মঙ্গলযান'। মহাকাশ গবেষণায় সেছিল ভারতের তরফে এক বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু 'প্রথম বিশ্বের এগিয়ে থাকা দেশ' আমেরিকার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসের তা ভাল লাগল না। ভাবটা যেন অনেকটা "ছোঃ! তৃতীয় বিশ্বের ভারত, সেও আবার মহাকাশ যান পাঠাবে! এও দেখতে হল!" আর এমন একটা মনোভাব থেকেই ভারতের কৃতিত্বকে 'তীর্যক' কার্টুনের মাধ্যমে খোঁচা দিল নিউ ইয়র্ক টাইমস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কার্টুনটিতে দেখা গেল, উচ্চবিত্তদের একটি ক্লাবের দরজায় কড়া নাড়ছে গাভীসহ এক ভারতীয়। আর সেই ক্লাবে উপস্থিত তথাকথিত 'এলিট'রা খবরের কাগজে ভারতের চন্দ্রযান নিক্ষেপের খবরটিই পড়ছেন। অর্থাত্‍ কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষের গবাদি পশু নিয়ে ঘর করা ভারতবাসীর যে ছবি চিরকাল পাশ্চাত্য দেখে এসেছে তার মাধ্যমেই প্রযুক্তি ও গবেষণায় ভারতের দক্ষতাকে খাটো করার মার্কিন প্রয়াস। বলার অপেক্ষা রাখে না, আপামোর ভারতবাসীকে সেদিন ওই 'রসিকতা' ব্যথা দিয়েছিল অনেকটা। আর এবার তারই যোগ্য জবাব দিল ভারতীয় সংবাদপত্র 'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'।



 


আজ 'টিওআই'-এর ছাপা একটি কার্টুনে দেখা যাচ্ছে, সেই 'এলিট ক্লাবে'ই বসে কাগজ পড়ছেন এক ভারতীয়, সঙ্গে রয়েছে তাঁর গরু এবং ওই ভারতীয়র হাতে একটি সংবাদপত্র যাতে ফলাও করে ছাপা হয়েছে ১০৪টি উপগ্রহ উত্‍‍ক্ষেপণের ঐতিহাসিক সাফল্যের কাহিনী। আর সেই তথাকথিত 'এলিট ক্লাবে'র দরজায় আজ নিজেদের দেশের উপগ্রহ হাতে নিয়ে কড়া নাড়ছেন তথাকথিত 'প্রথম বিশ্বের দেশের' প্রতিনিধিরা।


 



মুখের মতো জবাব পেয়ে চুপ করে গেছে 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'। এখনও পর্যন্ত কোনও রা কাড়েনি মার্কিন দৈনিকটি। (আরও পড়ুন- ডাউনলোড স্পিডে শীর্ষে এয়ারটেল, পিছনে জিও)