হাতি দিবসের আগে `খুনি হাতি`কে মারতে শ্রেষ্ঠ শিকারিকে আনছে সরকার
ওয়েব ডেস্ক: একের পর এক সাধারণ গ্রামবাসী খুন। পরপর প্রায় ১৫ জনের মৃত্যু। অথচ, বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে খুনি। কিছুই করা যাচ্ছে না। তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ এতদিন পরে হলেও খুনিকে মারার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হল সরকারকে। আরে, এ তো আর যে সে খুনি নয়, আস্ত এক দাঁতাল।
আজ্ঞে হ্যাঁ, এই খুনি দাঁতালের তাণ্ডেবে নাজেহাল বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সাধারণ গ্রামবাসীরা। সীমান্ত পার করে ঝড়খণ্ডে ঢোকার আগে গত মার্চে বিহারে প্রায় ৪ জনকে পায়ে পিষে মেরেছে এই খ্যাপা হাতি। তারপর ঝাড়খণ্ডে ঢুকেও তার হত্যালীলা জারি রয়েছে। কমপক্ষে ১১ জনকে পায়ে পিষে মেরে ফেলেছে। শুধু তাই নয় ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার চাষের জমি, গাছপালা সবই নষ্ট করে দিচ্ছে দাঁতালটি। টানা এক সপ্তাহ চেষ্টা করেও কোনওভাবেই তাকে বসে আনা, পাকড়াও করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন শরদ যাদব মুক্ত, তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিক, বার্তা নীতীশের
অগত্যা, বিশ্ব হাতি দিবসের আগে সরকারকে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রধান এল আর সিং। বনদফতরের কর্মীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, তাই হায়দরাবাদ থেকে আনা হচ্ছে ভারতের সেরা শিকারি নবাব সাহাফত আলি খান-কে। তাঁর উপরই দায়িত্ব পরেছে।যদিও এর আগে ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে একেরপর এক মানুষকে খেয়ে ফেলে ভয়ানক হয়ে ওঠা বাঘকে তিনি মেরেছিলেন। তবে এই বৃহদাকার দাঁতালকে মারতে তিনি সক্ষম হন কিনা সেটাই দেখার।