নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের শিল্পোত্পাদন সূচক ধাক্কা দিল মোদী সরকারকে। গত ১৭ মাসে সর্বনিম্নে পৌঁছল শিল্পোত্পাদন সূচক। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে শিল্পোত্পাদনের হার ০.৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে ওই একই মাসে তা বেড়ে পৌঁছেছিল ৮.৫ শতাংশে। মূলত, উত্পাদন শিল্পের সংকোচনের প্রভাব পড়েছে শিল্পোত্পাদন সূচকে।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭ সালের জুনে শিল্পোত্পাদন সূচক ছিল ০.৩ শতাংশ। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বরে শিল্পোত্পাদন হার ৫ শতাংশ। ওই একইসময়ে গতবছর তা ছিল ৩.২%। 


শিল্পোত্পাদন সূচকের ৭৭.৬৩ শতাংশই নির্ভর করে উত্পাদন ক্ষেত্রের উপরে। নভেম্বর মাসে সেই উত্পাদন ক্ষেত্রের হার ০.৪ শতাংশ। গত নভেম্বরে এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ছিল ১০.৪ শতাংশ। ২০১৭ সালে খনিজ ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ছিল ১.৪ শতাংশ। গতবছরের নভেম্বরে খনিজ ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ২.৭%। বিদ্যুত ক্ষেত্র গতবছরের নভেম্বরে ৩.৯ শতাংশ থেকে হয়েছে ৫.১%। মূলধনী পণ্যের উত্পাদন গতবছরের ৩.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.৪ শতাংশ। ভোগ্যপণ্যের উত্পাদন কমে দাঁড়িয়েছে ০.৬ শতাংশ। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তা ছিল ৩.১ শতাংশ। পচনশীল ভোগ্যপণ্য সংকুচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ০.৬ শতাংশ। গতবছর একইসময়ে তা ছিল ২৩.৭%। ২৩টি শিল্পের মধ্যে ১০টির ফলই ইতিবাচক। 


আরও পড়ুন- মোদী ক্ষমতায় ফিরলে বাংলা, কেরল দখলই লক্ষ্য, বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাহিদার সঙ্গে উত্পাদনের সরাসরি সম্পর্ক। মানুষের হাতে টাকা থাকলে বাড়ে ক্রয় ক্ষমতা। কিন্তু সরকারি নীতির অসারতার জেরে যদি হাতে টাকা কমে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়বে উত্পাদনে।