নিজস্ব সংবাদপত্র: নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখে চিনের 'আগ্রাসন'-এর তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে মুছল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সরানো হয়েছে ২০১৭ সালে ডোকলাম সংক্রান্ত প্রতিবেদনও। এ খবর জানাচ্ছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্র 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ঠিক কী কারণে এই সব তথ্য সরানো হচ্ছে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, খুব শিগগিরই সব তথ্য ওয়েবসাইটে ফিরবে। এবং সে সব ফিরবে পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত আকারেই।


সূত্র মারফত যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে ইঙ্গিত, ওয়েবসাইটিতে কিছু অদলবদল হচ্ছে। তার জেরেই আপাতত প্রতিবেদনগুলি সরানো হয়েছে। সূত্রের মতে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই প্রতিটি রিপোর্ট প্রকাশিত হবে।


লাদাখ নিয়ে রিপোর্টে কী বলা হয়েছিল? তার কিছু অংশ উদ্ধৃত করেছে ওই সংবাদপত্রটিই। তাতে লেখা ছিল, '২০২০ সালের ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর বা গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসন বাড়ছে।' বলা হয়েছিল, '২০২০ সালের ১৭ থেকে ১৮ মে-র মধ্যে চিনা সেনা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীর অতিক্রম করেছে।' ওই রিপোর্টে ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিন বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতির উল্লেখও ছিল।


পূর্ব লাদাখে চিনসেনার অনুপ্রবেশ-তত্ত্বকে যখন কেন্দ্র উড়িয়ে দিচ্ছে, তখনই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে চিনা আগ্রাসনের কথা উঠে এসেছিল। স্পষ্টই জানানো হয়েছিল, মে মাসের শুরু থেকেই গালওয়ান উপত্যকায় বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন দেখিয়েছে চিন।


এই নথি-চর্চা শুরু হতেই হঠাৎই ওয়েবসাইট থেকে উড়ে যায় তথ্য। রাহুল গান্ধির প্রশ্ন ছিল, কেন মিথ্যে বলছেন প্রধানমন্ত্রী? কেননা, তথ্য ফাঁস হতেই আসরে নেমেছিলেন রাহুল গান্ধি। বলেন, চিন আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে এই তথ্য অস্বীকার করলে সত্য রাতারাতি বদলে যাবে না।


আরও পড়ুন: পুরোদমে রাজনীতিতে নামার জন্য সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দিলেন দঙ্গল গার্ল ববিতা