ওয়েব ডেস্ক:  নোট বাতিলের চার মাস পরও বাজারে নগদের যোগান আগের অবস্থায় ফেরেনি। ফলে বড় শহরের ATM-গুলিতে টাকা পৌছলেও বাদ পড়ে যাচ্ছে ছোট শহর, গ্রাম।  নোট বাতিলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চান নরেন্দ্র মোদী। চার মাসেও তিনি পুরোটা পেরে উঠলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ রাজ্য-সহ গোটা দেশেই ছবিটা মোটের ওপর একইরকম। নোট বাতিলের সময় পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটে বাজারে ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। তার বদলে জানুয়ারি শেষে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা বাজারে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কত নতুন নোট বাজারে এল তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে ঠিক করে বলতে পারেননি খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব বেশি হলে এখনও পর্যন্ত বাতিল নোটের ৬০% থেকে ৬৫% ফিরে
এসেছে নতুন নোটে।


নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের অধিকাংশই ঢুকে যাচ্ছে বড় শহরের ATM-এ।  সেই চাহিদা মেটানোর পর ছোট শহর এবং গ্রামের ATM-এ পর্যাপ্ত টাকা পৌছচ্ছে না। যোগাযোগ সমস্যা ও শহরবাসীকে সন্তুষ্ট রাখার রাজনৈতিক তাগিদেও গ্রাম মফ্ফস্বলের ATM খালি রয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। (আরও পড়ুন- ১০টির বেশি বাতিল নোটে এবার জরিমানা ১০ হাজার টাকা)


পরে টাকা পাওয়া নাও যেতে পারে এই আশঙ্কায় অনেকে বেশি টাকা তুলে বাড়িতে ফেলে রাখার ফলেও বাজারে টাকার যোগান কমে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।  


এখন ব্যাঙ্ক-ATM থেকে সপ্তাহে টাকা তোলার উর্ধ্বসীমা ৫০ হাজার। ১৩ মার্চ থেকে এই সীমা উঠে যাচ্ছে। কিন্তু, টাকাই যদি না মেলে তাহলে নিয়ম তুলে দিয়ে লাভ কী হবে? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।