নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যবিত্তদের ঢালাও ছাড়, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের পেনশন ও কৃষকদের বার্ষিক ভাতার ঘোষণা করা হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে। কীভাবে এমন জনমোহিনী বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী বাজেটের পর জাতীর উদ্দেশে ভাষণে তার জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ''এটা অন্তর্বর্তী বাজেট। এটা শুধুমাত্র বাজেটের ট্রেলার। নির্বাচনের পর উন্নয়নের রাস্তায় চলবে দেশ''।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজেটে মধ্যবিত্ত, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী- সকলের দিকে বাজেটে নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ''আয়করের সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করার দাবি উঠছিল। সেই দাবি পূরণ করা হয়েছে''।




কৃষকরাই যে লোকসভার ভোটের ইস্যু হতে চলেছে তা বিলক্ষণ বোঝেন মোদী। সে জন্য কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের জন্য নানা প্রকল্প এসেছে।  কিন্তু এমন প্রকল্প আসেনি। স্বাধীনতার পর কৃষকদের জন্য এটাই বড় পদক্ষেপ। গ্রামীণ আয় বাড়াতে পশুপালন, গোপালন ও মত্স্যচাষে উত্সাহ দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে কামধেনু আয়োগ। কৃষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাঁদের আয় দ্বিগুণ করতে চায় সরকার।



অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য আগে কখনও ভাবা হয়নি বলে মনে করিয়ে দেন মোদী। তাঁর কথায়, ''অসংগঠিত শ্রমিকদের সংখ্যা ৪০-৪২ কোটি।  তাঁদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মন্ধন প্রকল্প আনা হয়েছে''। ব্যবসায়ীদের দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন মোদী।


'নতুন ভারত' গঠনের লক্ষ্য নিয়েছে মোদী সরকার। সে কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  কৃষক, মধ্যবিত্ত ও ব্যবসায়ীদের খেয়াল রাখা হয়েছে। গতি দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামোর উন্নয়নে। নতুন শক্তি পেয়ে অর্থ ব্যবস্থা। এই বাজেট সর্বব্যাপী, সর্বস্পর্শী, সর্বসমাবেশী ও সর্বোকৃষ্ট।


আরও পড়ুন- অন্তর্বর্তী বাজেটের বড় ঘোষণাগুলি দেখে নিন ১৫টি পয়েন্টে