নিজস্ব প্রতিবেদন:  আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে চিদম্বরমের আর্জির শুনানি। বিচারপতি আর ভানুমতি এবং এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি। গত ২১ অগাস্ট প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আবেদন শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। তখন বেপাত্তা চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডির লুক আউট নোটিস জারি ছিল। তাঁর মাথার ওপর ঝুলে ছিল গ্রেফতারির খাঁড়া। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। মধ্যরাতে বাড়ির পাঁচিল টপকেই একপ্রকার নাটকীয়ভাবে সিবিআই গ্রেফতার করে চিদম্বরমকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বর্ষীয়ান এই নেতাকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে জেরা করা শুরু করা হয়। দফায় দফায় চলে জেরা। আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়।


ঘুষের টাকা কোথায় গেল? তিনি কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, এসব প্রশ্ন সিবিআইয়ের তরফে করা হয়। কার্তির আর্থিক লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। আইএনএক্স চুক্তির আর্থিক লেনদেনের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন কার্তি। তাঁকে কীভাবে সম্মতি দিলেন-এসব প্রশ্ন করা হয় চিদম্বরমকে।


জাকির নায়েকের সংস্থাকে অর্থ সাহায্য, চিদম্বরম পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ


বেলায় তাঁকে সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় পি চিদাম্বরমকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত। আগামী ২৬ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকবেন চিদাম্বরম। সবপক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে এই রায় দেন বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, পরিবার ও আইনজীবীর তাঁর সঙ্গে দিনে আধ ঘণ্টা দেখা করার সুযোগ পাবেন। জেরা করার সময় তাঁর ব্যক্তিগত সম্মানহানি যেন না তদন্তকারীদের সে দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন বিচারক।  এদিন চিদাম্বরমকে আদালতে তোলার পর সিবিআই তরফের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল শুরু করেন। চিদাম্বরমকে হেফাজতে নেওয়ার গুরুত্ব বোঝান তুষার মেহতা। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, তদন্তে সাহয্য করছেন না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তিনি চুপ থাকতেই পারেন। ওটা ওর সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু প্রশ্ন করলে ঘুরিয়ে উত্তর দিচ্ছেন।”