জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ংকর! হাড়হিম করে দেয় এই ঘটনা! এ যেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের সামনে সাক্ষাৎ হাজির মৃত্য়ুদূত! যার পরিণতিতে অবধারিত মৃত্যু। দিল্লি থেকে কানপুরগামী নীলাচল এক্সপ্রেসে এক ট্রেনযাত্রীর সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে। ট্রেনের জানলার ধারের আসনটিতে বসেছিলেন ওই যাত্রী। জানলার কাচের পাল্লা বন্ধ-ই ছিল। কিন্তু সেই কাচ ভেঙে জানলা দিয়ে ঢুকে আসে লোহার রড। আর সেই লোহার রড ঢুকে যায় জানলার পাশেই বসে থাকা যাত্রীর গলায়। এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় গলা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকালে দিল্লি থেকে রওনা হয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল কানপুর। সেইসময়ই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) ডিভিশনের দানওয়ার এবং সোমনা স্টেশনের মাঝামাঝি ঘটে ঘটনাটি। এরপর আলিগড় স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালে, নামানো হয় ওই যাত্রীর নিথর দেহ। জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে। দেখা যাচ্ছে, ওই যাত্রীর আসন নাম্বার ছিল ১৪। জানলার পাশে ট্রেনের আসনে তখনও বসা অবস্থাতেই রয়েছেন ওই যাত্রী। আর জানলার কাচ ভেঙে ঢোকা লোহার রড বিঁধে রয়েছে তাঁর গলায়। ওই যাত্রীর একটি হাত তখনও জ্যাকেটের পকেটের ভিতরেই রয়েছে। চোখ দুটি বোজা। পাশের ফাঁকা আসনটি ভেসে যাচ্ছে রক্তে। আর পায়ের কাছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জানলার ভাঙা কাচের টুকরো। ভারতীয় রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, মৃত ওই যাত্রীর নাম হরিকেশ কুমার দুবে। রেললাইনে কাজের জন্য রাখা ছিল লোহার রড। ৫ ফিট দীর্ঘ সেই একটি লোহার রড দুর্ঘটনাবশত জানলার কাচ ভেঙে তাঁর গলায় ঢুকে যায়। ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'ভারত ছাড়ছি না, মুম্বই যথেষ্ট নিরাপদ', সাহায্যে এগিয়ে আসা যুবককে ধন্যবাদ কোরিয়ান ইউটিউবারের


উল্লেখ্য, দুদিন আগে এই বাংলাতেই গলায় ত্রিশূল নিয়েই কল্যাণী থেকে সোজা এনআরএসে পৌঁছন এক যুবক। শেষে এনআরএসের চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচারে বাঁচে প্রাণ। ভাস্কর রাম নামে ৩৩ বছর বয়সী পেশায় শপিং মল কর্মী ওই যুবক রাতে কাজ থেকে ফেরার পর, নিজের বাড়িতেই পরিচিত দুই যুবকের হাতে আক্রান্ত হন। মারধরের পর ভাস্কর রামের বাড়িতেই রাখা পৈতৃক ত্রিশূল তুলে তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। সেই ত্রিশূল গলায় বিঁধে যায় ভাস্কর রামের। গলা এঁফোড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিক, সিটিভিএসের চিকিৎসকদেরও পরামর্শ নিয়ে ইএনটি এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় অস্ত্রোপচার করে বের করে আনা হয় গলায় বিঁধে থাকা ত্রিশূলটি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)