নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের ধর্মসভায় যোগদানকারীদের মধ্যে ৪৪১ জনের করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল। তিনি বললেন, "বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে এমন পরিস্থিতিতে বিশাল ধর্মসভা আয়োজন করা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ ছিল।" তিনি জানান, ওই সভায় যোগ দেওয়া প্রায় ২৪ জনের মধ্যে কোভিড নাইন্টিন পজিটিভ। সংখ্যাটা বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কেজরি। ওই সভায় যোগদানকারী ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক সম্মেলনে চিন্তিত গলায় কেজরী বলেন, "গোটা বিশ্বে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সব ধর্মীয় স্থান বন্ধ। সেখানে ওরা বড়সড় বেনিয়ম ঘটিয়েছেন।" আর এই বেনিয়মের ফলেই যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, তাই নিয়ে শঙ্কিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আরও কত মানুষের ক্ষতি হল, সেটা ভাবতেই আমার ভয় করছে।"


প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই ধর্মীয় স্থানে জমায়েত বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। আরও একবার সেই আর্জি মনে করিয়ে দিলেন কেজরিবাল। তিনি বললেন, "সমস্ত ধর্মগুরুদের কাছে আমার অনুরোধ, মানুষের ধর্ম যাই হোক না কেন, সেটা জীবনের থেকে দামি নয়।" কেজরিবাল জানান, মসজিদ থেকে ১,৫৪৮ জনকে বের করে আনা হয়েছে। তাঁর মধ্যে ১,১০০ জনকে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে নিশ্ছিদ্র কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লি পুলিস।


আরও পড়ুন- দিল্লির নিজামউদ্দিনের ধর্মসভা থেকে কে কে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন? চলছে খোঁজ 


এদিকে তবলিগ-ই-জামাতের সভা শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন দেশ-বিদেশের যোগদানকারীরা। তেলেঙ্গানা,তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যান অনেক যোগদানকারী। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছে বলে জানান কেজরি। 



নিজামউদ্দিনে অংশ নেওয়া তেলেঙ্গানার ৬ জন ও শ্রীনগরের এক ধর্মগুরুর করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। মধ্য মার্চের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ২,০০০ মানুষ। তার মধ্যে কেবলমাত্র কাশ্মীরেরই ছিলেন ১০০ জনেরও বেশি। প্রায় প্রতিটি রাজ্যই তত্পরতার সঙ্গে নিজামউদ্দিন ফেরতদের খোঁজ শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও নিজামউদ্দিনের ধর্মসভায় অংশগ্রহণকারীদের খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন।