ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গি যোগে বাংলাদেশে নিখোঁজ যুবকরা কি গা ঢাকা দিয়েছে এদেশে? জোরালো হচ্ছে সন্দেহ। ইতিমধ্যেই ওপার বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নিখোঁজ দশ যুবকের খোঁজে বাংলাদেশ লাগোয়া মালদহ সীমান্তে তল্লাসি শুরু করেছে BSF ও BGB।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হামলাকারী ৩। মিল ১। হামলার আগে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ৩ জনই। এদের মতোই গত দুবছরে বাংলাদেশে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বহু যুবক। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ১৫০ যুবকের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। নিখোঁজ গতিবিধি থেকে স্পষ্ট, এদের অধিকাংশই JMB বা IS-র মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে বাইরে পাড়ি দিয়েছে। আর ঠিক এই তথ্যই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কপালে। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশে নিখোঁজ যুবকদের একটা বড় অংশ এদেশে গা ঢাকা দিয়েছে।


বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামে নিখোঁজদের গা ঢাকা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গোয়েন্দাদের চিন্তা আরও বাড়িয়েছে দুই বাংলা জুড়ে ছড়ানো IS মডিউল। মুসার গ্রেফতারির পর যার জাল ফাঁস হয়েছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত থেকে স্পষ্ট রাজ্যে ইতিমধ্যেই শিকড় ছড়িয়েছে JMB। তাই ওপার বাংলা থেকে নিখোঁজ যুবকদের এরাজ্যে গা ঢাকা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


সেই সম্ভাবনা থেকেই ১০জন নিখোঁজের তালিকা ভারতের হাতে তুলে দিল বাংলাদেশ সরকার। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র। এক বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। নিখোঁজদের সাম্প্রতিক গতিবিধি ট্র্যাক করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত এই ১০জন বাইরে থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিয়মিত যাতয়াত রয়েছে এদের। এপারের সীমান্ত লাগোয়া দুই দিনাজপুর বা মালদহে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এই ১০জন।


শুধু বাংলাদেশ নয়। এই ১০ জন এখন এরাজ্যের পক্ষে আতঙ্ক। গোয়েন্দারা আশঙ্কা আরও জোরালো করছে রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা একাধিক JMB নেতা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর JMB চাঁই সালাউদ্দিন সাহলিন, বোমা মিজান, নাসিরুল্লারা এরাজ্যে লুকিয়ে রয়েছে। দুই বাংলার বুকে জঙ্গি কার্যকলাপের বেশিরভাগটাই নিয়ন্ত্রণ করে এরা।


বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ যুবকরা এরাজ্যে এদের আশ্রয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। ঠিক একারণেই সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাসি। নিখোঁজদের পাসপোর্ট ও ছবি দিয়ে পড়েছে পোস্টারও। এপার বাংলার বুকে বড় সড় কোনও নাশকতার আগে এদের জালবন্দি করাই এখন দুদেশের গোয়েন্দাদের কাছে পাখির চোখ।