নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। বুধবার বিলটি পেশ হবে রাজ্যসভায়। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে,  মেধাবীদের সামনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না তো সংরক্ষণের বেড়াজাল? সংরক্ষণ নীতি দিয়ে কি আর্থিকভাবে পিছিয়ে-পড়া মানুষগুলোর সার্বিক উন্নতি করা সম্ভব? সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, নীতি এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের ঐতিহাসিক চমক। যা নিয়ে সপক্ষে-বিপক্ষে একাধিক যুক্তি দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে, সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল?ভোট-গিমিক নাকি আশু প্রয়োজন? ভারতীয় সমাজে কি অনিবার্য? দেশের সামাজিক বাস্তবকে রাজনীতির কাঠামোয় কি এভাবে স্বীকার করতেই হবে? 


ঠিক না ভুল, তা বিচারের আগে একবার দেখা প্রয়োজন এখন সরকারি চাকরিতে নিয়োগে সংরক্ষণের হিসাব।


তফসিলি জাতির জন্য ১৫ শতাংশ।
তফসিলি জনজাতির জন্য ৭.৫ শতাংশ এবং
ওবিসিদের জন্য ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত।
সব মিলিয়ে ৪৯.৫ শতাংশ।


উচ্চবর্ণের মানুষও কেন এই সুবিধা পাবে না? এ প্রশ্ন বার বার উঠেছে। তাহলে কেন উচ্চবর্ণদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে? পাশাপাশি অন্য যুক্তিও খাড়া করা হচ্ছে। এবার মেধাবীদের সামনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে সংরক্ষণের বেড়াজাল।


যুক্তি দেওয়া হয়, সাধারণত একজন যুবকের উচ্চশিক্ষা শেষ করতে লেগে যায় ২৫ থেকে ২৬ বছর। এরপর প্রস্তুতি নিয়ে চাকরিতে প্রবেশের জন্য সময় থাকে চার থেকে পাঁচ বছর। সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, নীতিগত দিক এবং কার্যকর ব্যবস্থা বিচার না করলে সংরক্ষণের আপাত ভাল-খারাপ দিক বিচার করা সম্ভব নয়।


আরও পড়ুন- উচ্চবর্ণের সংরক্ষণে বড় জিত কেন্দ্রের, লোকসভায় পাশ হল সংবিধান সংশোধনী বিল


সমাজের একটা অংশ বলছেন, সংরক্ষণের ভিত্তি হওয়া উচিত দারিদ্র্য। পাশাপাশি মেধা যেন কোনওভাবেই অবহেলিত না হয়। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, শুধু সংরক্ষণ নীতি দিয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে-পড়া মানুষগুলোর সার্বিক উন্নতি করা যাবে না।