নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লি দাঙ্গার তদন্তে নেমে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করছে দিল্লি পুলিস। এবার দিল্লি পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিএএ ও এনসিআর-এর বিরোধিতার আড়ালে দিল্লি দাঙ্গা আসলে বড় ষড়যন্ত্রের ফল। আর এই দাঙ্গার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, খালিস্তানি সমর্থকদের উস্কানি দিয়েছিল আইএসআই। এমনকী দিল্লিতে দাঙ্গা বাঁধানোর জন্য খালিস্তানি সমর্থকদের সবরকম সাহায্যও করে আইএসআই। দাঙ্গায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে খালিস্তানিরা তাণ্ডব করেছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিস আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে মূল অভিযুক্ত অতর খানের বয়ান রয়েছে। সেই চার্জশিটে বলা হয়েছে, দাঙ্গায় মহিলাদের কাজে লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল। কোনও এক জায়গা থেকে টাকা বিলি করা হয়েছিল। অতর খান জানিয়েছে, চাঁদবাগ ও শাহিনবাগে খরচর জন্য টাকার জোগান দিয়েছিল সুলেমান সিদ্দিকি। শাহিনবাগের ধর্নার জায়গায় যাওয়া-আসা ছিল ড. রিজওয়ান সিদ্দিকির। সেই রিজওয়ানের সঙ্গেই শাহিনবাগে খালিস্তান সমর্থক বাগিচা সিং ও লভপ্রিত সিংয়ের দেখা হয়। তারাই রিজওয়ানকে জানায় যে খালিস্তানি সমর্থকরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছে। খালিস্তানিদের আইএসআই সমর্থন জোগাচ্ছে বলেও জানায় বাগিচা সিং। 


আরও পড়ুন-  করোনার আবহে প্রথম ভোট! বিহার বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করল কমিশন


খালিস্তান সমর্থকরা জানায়, আইএসআই-এর তরফে তাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল যে দিল্লিতে দাঙ্গার বাতাবরণ তৈরি করতে হবে। চার্জশিটে আরও লেখা হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর উমর খালিদ জামিয়ানগর গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জামিয়া কোঅর্ডিনেশন কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির তদারকিতে গোপন বৈঠক হত। জামিয়ার সাত নম্বর গেটের কাছে কোনও এক বৈঠকে এক মহিলাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই টাকা বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের মধ্যে বিলি করে দিতে হবে। বলা হয়েছিল, বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়লে টাকার অঙ্ক বাড়ানো হবে।