নিজস্ব প্রতিবেদন:  লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার জল্পনা ফের জোরাল হল প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে। দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার তাঁর মাসিক মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানো ‌যায় কিনা তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষ এর পক্ষে ও বিপক্ষে তাদের মতামত দিচ্ছেন। গণতন্ত্রের পক্ষে এটি ভালো লক্ষণ।


আরও পড়ুন-৭১-এ থেমে গেল গোপাল বসুর ইনিংস


মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত ইতিমধ্যেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তিনি জানিয়ে দেন, একসঙ্গে নির্বাচন সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবজ চাই। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‌যানবাহন এও ভিভিপ্যাডের অভাবের কারণেই একসঙ্গে নির্বাচন আগামী এক বছর করানো সম্ভব নয়। এর জন্য ‌যে আইন বদলের প্রয়োজন হবে তা তৈরি করতে কমপক্ষে একবছর লেগে ‌যাবে। প্রসঙ্গত, মুখ্যনির্বাচন কমিশনারে ওই মন্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ওই প্রসঙ্গ ওঠায় ফের একসঙ্গে নির্বাচনের জল্পনা তৈরি হয়ে গেল।


উল্লেখ্য, বিজেপি বরাবরই একদেশ একসঙ্গে নির্বাচনের পক্ষে। গত মাসে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল ল কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত করে। তার পরেই সংবাদ মাধ্যমে রটে ‌যায় ‌যে সরকার চাইছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ১১ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে নিয়ে। এনিয়ে নাকি খোদ বিজেপি প্রধান ল কমিশনে চিঠি লিখেছেন।


আরও পড়ুন-ফেসবুকে প্রেম করে মহিলার ৭ লক্ষ টাকা লুঠ যুবকের


ওই জল্পনার পর কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের দাবি, একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করাতে গেলে আইন তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরই মুখ খোলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই একসঙ্গে লোকসভা এ বিধানসভা নির্বাচন সম্ভব নয়।


গোটা বিষয়টি নিয়ে বাধ্য হয়েই মুখ খোলে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, সরকার একসঙ্গে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন করাতে চাইছে বলে ‌যে খবর রটেছে তা ঠিক নয়। অমিত শাহ ল কমিশনে চিঠি লিখেছেন ঠিকই। তবে সেখানে একসঙ্গে নির্বাচনের কোনও দাবি করা হয়নি। তবে বিজেপি ‌যেহেতু একদেশ এক নির্বাচনের কথা বলে আসছে তাই লেখা হয়েছে বিজেপি একসঙ্গে নির্বাচন করানোর পক্ষে।