জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বারাণসী বা কাশীকে মনে করা হয় দেশের সবচেয়ে পুরনো শহর। শুধু ভারতই নয়, মনে করা হয় গঙ্গার তীরের এই জনপদটি দুনিয়ার প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন সভ্যতা এই নদীর তীরেই গড়ে উঠেছিল। হিন্দু ধর্মের পীঠস্থান এই শহরটিকে বলা হয় ভারতের ধর্মীয় রাজধানী। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয় এখানেই রয়েছে ভারতের সবচেয়ে পুরনো মন্দির। কিন্তু এই ধারনা একেবারেই ভুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-টিকায় বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশ্বজুড়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা


আর্কিয়লজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার(এএসআই) মতে ভারতের সবচেয়ে পুরনো সচল মন্দির কাশীতে নয়, বরং তা বিহারে। সেই মন্দিরে অধিষ্ঠান এক দেবীর। বিহারের মুণ্ডেশ্বরী মন্দিরকেই মনে করা হয় দেশের একমাত্র প্রাচীনতম মন্দির যেখানে একেবারে প্রথম থেকে পূজাপাঠ চলছে। মুণ্ডেশ্বরী পাহাড়ের উপরে এই মন্দিরে রয়েছেন শিব ও শক্তি। তবে মন্দিরের ভেতরে রয়েছে আরও অনেক দেবতার মূর্তি। মনে করা হয় মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১০৪ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯১৫ সালে থেকে মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে এএসআই।


বিহার পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী সপ্তম শতকে শৈব মতবাদ সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মীয় ধারা হয়ে ওঠে। বিনিতেশ্বর গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হয়ে ওঠেন। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চতুর্লিঙ্গম। এমনটা মনে করা হয়ে থাকে যে মুণ্ডশ্বরী মন্দিরে বিরামহীনভাবে পুজোপাঠ চলে আসছে। মন্দিরের এই প্রাচীনতাই মানুষকে এখানে সারা বছর টানে। তবে রামনবমী কিংবা শিবরাত্রির মতো দিন মন্দির ভক্তে থিকথিক করে।  


মুণ্ডেশ্বরী মন্দিরের গঠনশৈলীও অনেক পুরোন। এই গঠনশৈলীকে বলা হয় নাগা স্থাপত্য। মনে করা হয় মন্দিরের এমন কাঠামো তৈরি হয় গুপ্ত যুগে। পাথরে তৈরি এই মন্দিরটি হল বিহারে নাগা স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি সবচেয়ে পুরনো মন্দির। চারদিক থেকে চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে এই মন্দিরে। মন্দিরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে ফুল, লতাপাতা সহ অন্যান্য অনেক ধরণের অলঙ্করণ। মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছে দেবী মুণ্ডেশ্বরী ও চতুর্মুখী শিবলিঙ্গ।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)