নিজস্ব প্রতিবেদন: ডেপুটি। মুখ্যমন্ত্রী হোক, কিংবা প্রধানমন্ত্রী। ভারতে সাধারণত রাজনৈতিক সমীকরণ ঠিক রাখতে এই পদে কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে বসানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তা বলে জাতপাতের সমীকরণের ভারসাম্য বজায় রাখতেও ডেপুটি নিয়োগ। তাও আবার একজন বা দু’জন নয়, পাঁচজন ডেপুটি নিয়োগ করা হতে চলেছে। আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্যি।


আরও পড়ুন: ২০০৮ সালে মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণের কথা জানিই না, আদালতে বললেন প্রজ্ঞা


এখন থেকে একজন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গে পাঁচজন উপমুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকার চালাবেন। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির নেতা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রোড্ডি।


তফশিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু ও কাপু সম্প্রদায় থেকে পাঁচজন নির্বাচিত পাঁচজন বিধায়ককে উপমুখ্যমন্ত্রী করছেন জগন। শুক্রবার তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের বিধায়ক মহম্মদ মুস্তাফা সায়েক জগনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: বিকাশপুরুষ থেকে সুশাসনবাবু, সাত ঘাটের জল খেয়ে এবার তৃণমূলে,কে এই প্রশান্ত?


৩০ মে জগন শপথ নিলেও তাঁর মন্ত্রিসভা এখনও শপথ নেয়নি। শনিবার তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। তার আগে শুক্রবার নিজের বাসভবনে দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জগন। সেখানেই তিনি পাঁচজন উপমুখ্যমন্ত্রী রাখার ঘোষণা করেন।


তিনি বিধায়কদের জানিয়েছেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিদের বেশি করে জায়গা দেওয়া হবে মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রীদের মধ্যে রেড্ডি সম্প্রদায় থেকেই বেশি লোক থাকবেন।


আরও পড়ুন: অবসরের ঘোষণা উইপ্রো প্রতিষ্ঠাতা আজিম প্রেমজির


আড়াই বছর পর মন্ত্রীদের কার্যকলাপ বিচার-বিবেচনা করা হবে। তার পর ঠিক হবে, কারা কারা বাদ পড়বেন। তখন নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জগন এদিন বিধায়কদের জানিয়েছেন।


অন্ধ্রপ্রদেশে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছেন জগন। প্রথমবারের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছেন। তার পর তাঁর এই সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে গোটা দেশের রাজনীতিকে।


আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস ছেড়ে টিআরএসের পথে ১২ জন বিধায়ক


যদিও এই ধরনের ট্রেন্ড এই প্রথম নয়। এর আগে চন্দ্রবাবু নায়ডুও জাতপাতের সমীকরণের হিসেবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেন। তবে তাঁর মন্ত্রিসভায় উপ-মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল দুই।