নিজস্ব প্রতিবেদন: সপ্তদশ লোকসভার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শপথগ্রহণ ঘিরে গোটা সংসদে উঠল 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। শপথ নেওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'এতো দেখছি নরেন্দ্র মোদীর চেয়ে আমি জনপ্রিয়'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ঘোষিত হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এরপরই গোটা অধিবেশন কেঁপে ওঠে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিতে। হেঁটে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কটাক্ষ, 'এতো দেখছি নরেন্দ্র মোদীর চেয়েও আমি জনপ্রিয়'। বাংলায় শপথ নেন অভিষেক। শপথ শেষের পর বলেন,'জয় হিন্দ। বাংলার জয় হোক'।     



বাংলায় রাম নাম নিয়ে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক। আর এবার লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসার পর গণতন্ত্রের পীঠস্থানে উঠছে ঘনঘন 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি। এদিন ওয়াইসির শপথ নেওয়ার সময়ও ওঠে 'জয় শ্রী রাম'। শপথ শেষ করার পর পাল্টা আল্লাহু-আকবর বলেন হায়দরাবাদের সাংসদ।    


গোটা বিতর্কের সূত্রপাত চন্দ্রকোনায় মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কনভয়ের সামনে তিন যুবকের 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দেওয়ার ঘটনায়। কনভয় থেকে নেমে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। ওই তিন যুবককে আটক করে পুলিস। বিষয়টি নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করে বিজেপি। সেই থেকে রামনাম নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধে রাজ্যে। ওই ঘটনার পর তমলুক ও ঝাড়গ্রামের সভায় মমতাকে বিদ্ধ করেছিলেন মোদী। বলেছিলেন,''সবাইকে জয় শ্রী রাম। বিশেষ করে মমতা দিদিকে জয় শ্রী রাম। দিদি জয় শ্রী রাম অভিবাদন করার জন্য লোকেদের জেলে পুরতে শুরু করে দিয়েছেন। আমার মনে হল, দিদিকে সরাসরি জয় শ্রী রাম বলি''। তার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন,''বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। তুমি ঠিক করবে আমি কী স্লোগান দেব? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বলেছিলেন, জয় হিন্দ। আমরা জয় হিন্দ স্লোগানটা দিই। আমরা বন্দে মাতরম বলি।   


আরও পড়ুন- জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত নয় 'জয় শ্রী রাম', মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট