জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিনিয়র কংগ্রেস নেতা এবং দলের জাতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। জেসিন্ডা পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা না করার এবং দেশের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। বিখ্যাত ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার বিজয় মার্চেন্টের কথা জানিয়ে রমেশ বলেন আর্ডার্নের পদত্যাগ ‘মার্চেন্টের ম্যাক্সিম অনুসরণ করে’ এমন একটি পদক্ষেপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কংগ্রেস নেতা ট্যুইটারে বলেন, ‘ভারতীয় রাজনীতিতে তার মতো নেতা আরও বেশি প্রয়োজন’।


 



আর্ডার্ন নেপিয়ারে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে সাত ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে তাঁর শেষ দিন হবে। এর পরেই দেখা যায় রমেশের ট্যুইট। তিনি সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত একজন আইন প্রণেতা হিসাবে তার আসনটি ধরে রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই নির্বাচন ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে।


তিনি তার লেবার পার্টির সদস্যদের একটি সভায় বলেছিলেন ‘আমার জন্য সময়শেষ’। ‘আর চার বছরের জন্য আমার যথেষ্ট রসদ নেই’। আর্ডার্ন ২০১৭ সালে একটি জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপরে তাঁর সেন্ট্রাল লেফট লেবার পার্টিকে তিন বছর পরে অপর একটি নির্বাচনে ব্যাপক জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক ভোটে তার দল এবং ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।


আরও পড়ুন: Tata Mumbai Marathon: হাঁটতে-হাঁটতেই প্রমাণ করলেন বয়স সত্যিই সংখ্যা মাত্র! ভারতীর ঘটনা শুনলে অবাক হবেন...


এক মাস আগে পার্লামেন্টের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যাওয়ার পরে তাঁর প্রথম জনসমক্ষে উপস্থিতিতে, তিনি লেবার পার্টির বার্ষিক ককাস রিট্রিটে বলেছিলেন যে বিরতির সময় তিনি নেতা হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি খুঁজে পাওয়ার আশা করেছিলেন, ‘কিন্তু আমি তা করতে পারিনি’। ‘পরবর্তি নির্বাচনে আমি জিত্তে পারবনা বলে আমি পদ ছাড়ছি না, কারণ আমি বিশ্বাস করি যে আমরা পারব এবং করব’ তিনি বলেছিলেন।


আর্ডার্ন বলেছেন যে তার পদত্যাগ সাত ফেব্রুয়ারির পরে কার্যকর হবে, লেবার ককাস ২২ জানুয়ারী নতুন নেতার জন্য ভোট দেবে।


আরও পড়ুন: ‘মুড বানগায়া…’ গানে নেটদুনিয়ায় ঝড় তুলেছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্ত্রীর হুক স্টেপ


উপ-প্রধানমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন বলেছেন, তিনি নিজের নাম নেতা হওয়ার জন্য প্রস্তাব করবেন না। আর্ডার্ন বলেন, তার পদত্যাগের পেছনে কোনও রহস্য নেই। ‘আমি একজন মানুষ। আমরা যতদিন যতটা পারি ততক্ষণ দেই এবং তারপরে সময় শেষ হয়। এবং আমার জন্য, এটাই যাওয়ার সময়’।


তিনি আরও বলেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি কারণ এই ধরনের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কাজের সঙ্গে একটি বড় দায়িত্ব আসে। আপনি কখন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি এবং আপনি কখন সঠিক নন তাও জানা আপনার দায়িত্ব’।


দেশে বন্দুকবাজের হামলা এবং করোনভাইরাস মহামারীতে দেশের স্বাস্থ্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে আর্ডার্নের সহানুভূতিশীল আচরণ তাঁকে একটি আন্তর্জাতিক আইকনে পরিনত করে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে তিনি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)