বিজেপিতে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিল কাশ্মীরে খতম জইশ নেতা নুর
লক্ষ্য ছিল বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের গতিবিধি জেনে তাদের একে একে হত্যা করা। কিন্তু তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় একটি ঘটনায়। বিজেপিতে যোগদানের কয়েক দিন আগে সাঙ্গপাঙ্গ ও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয় নুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উচ্চতা চার ফুট দুই ইঞ্চি। তবুও সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় চোখে পড়ার মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল সে। দিনে দিনে বেড়েই চলছিল আতঙ্কের মাত্রা। রাতের ঘুম ছুটিয়েছিল গোয়েন্দাদের। গত কালই জইশ কম্যান্ডার নুর মহম্মদ তান্ত্রেকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। তার পর দিনই তার নামে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: প্রথমে ধর্ষণ করল প্রেমিক, তারপর একে একে ৩ ‘উদ্ধারকারী’!
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক সময় বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিল নুর মহম্মদ তান্ত্রে। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম সারির নেতা হয়ে ওঠার জন্য সব প্রস্তুতি সেরেও ফেলেছিল সে।
মঙ্গলবার ভোরে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলা সম্বুরা অঞ্চলে গুলিবিনিময়ে নিকেশ হয় দিল্লি আদালতের ‘মওকা কা সওদাগর’ উপাধিপ্রাপ্ত নুর। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা গেল তার খতরনক মতলবের কথা। জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিল নুর। নয়া দিল্লির ১১ অশোক রোডে বিজেপির সদর দফতর থেকে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণের ফর্ম সংগ্রহ করেছিল সে। লক্ষ্য ছিল বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের গতিবিধি জেনে তাদের একে একে হত্যা করা। কিন্তু তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় একটি ঘটনায়। বিজেপিতে যোগদানের কয়েক দিন আগে সাঙ্গপাঙ্গ ও অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয় নুর।
আরও পড়ুন: তিহাড়ে ছোটা রাজনকে খুনের নয়া ছক দাউদের, চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০০৩-এর ৩০ অগাস্ট দিল্লির আজাদপুরে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে তান্ত্রেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিসের বিশেষ দল। ২০১১ সালে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০১৫-তে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে যায় তান্ত্রে। এরপর আরও ‘খতরনক’ হয়ে ওঠে সে। একের পর এক সন্ত্রাসের ব্লু প্রিন্ট তারই মস্তিষ্কপ্রসূত।
গোয়েন্দাদের দাবি, গত অক্টোবরে শ্রীনগরে বিমানবন্দর সংলগ্ন বিএসএফ ক্যাম্পে হামলা ও পরে ত্রালে জম্মু কাশ্মীরের মন্ত্রী নইম আখতারের কনভয়ে হামলায় মূলচক্রী ছিল সে।