ওয়েব ডেস্ক: ৪৫দিনে দ্বিগুণ হয়েছে জমা টাকার পরিমান। নোটবন্দির পর ৪৮ লক্ষ  জনধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৮৭ হাজার কোটি টাকা। জমা পড়া এই বিপুল টাকার উত্‍স খতিয়ে দেখছে অর্থমন্ত্রক। কোনও গরমিল ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থার  ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সকলের জন্য ব্যাঙ্ক। আর সেই লক্ষ্যেই নরেন্দ্র মোদীর ব্রেনচাইল্ড জনধন অ্যাকাউন্ট। কিন্তু, নোটবন্দির পর জিরো ব্যালান্স এসব অ্যাকাউন্টই টার্গেট হয়ে যায় কালো টাকার কারবারিদের। তাড়া তাড়া কালো নোট সাদা করতে জনধন অ্যাকাউন্টগুলির ব্যবহার শুরু হয়। বুঝতে পেরেই হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫০দিনের মেয়াদ শেষের পর স্পষ্ট,মোদীর আশঙ্কা মিথ্যে নয়। অর্থমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, নোটবন্দির পর থেকে জনধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়া  টাকার পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন রামগোপালের ডাকা জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে অখিলেশ দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদে, বহিষ্কৃত অমর সিং


নোটবন্দির পরের ৪৫ দিনে জনধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকার মোট পরিমাণ ৮৭,০০০ কোটি। ১০ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৮ লক্ষ জনধন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ৪১,৫২৩ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রকের দাবি, নোটবন্দির প্রথম সপ্তাহেই ২০,২২৪ কোটি টাকা জমা পড়ে যায়, পরের দিকে টাকার জমার পরিমাণ কমে আসে। অর্থমন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, প্রথম কয়েক সপ্তাহে জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রচুর পরিমান টাকা জমা পড়তে শুরু করে। কিন্তু,তারপর আয়কর কর্তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে সতর্ক করা শুরু করেন। তাতেই কাজ হয়। পরের কয়েক সপ্তাহে কমে আসা টাকা জমা করার পরিমান। আপাতত প্রতিটি জনধন অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখছে অর্থমন্ত্রক। কোথাও কোনও গরমিল ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, যদি বোঝা যায় অন্য কারোর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তবে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন  বিদেশে থাকা ভারতীয় ও প্রবাসী ভারতীয়দের নোট জমা দেওয়ার নিয়ম শিথিল হল