নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার গোটা দেশেই পালিত হল জনতা কার্ফু। এদিন বাড়ি থেকে বের হননি কেউই। বরং বিকেল পাঁচটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাততালি দিয়ে, কাঁসর বাজিয়ে উত্সাহ দিয়েছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্বাস্থ্যকর্মীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রবিবার ফের সংঘর্ষ দমদম সেন্ট্রাল জেলে, ২ নম্বর বাড়িতে আগুন দিল বন্দিরা


প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, কার্ফু আজ রাত নটায় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এর পর আমরা আনন্দ করব। অনেক লম্বা লড়াই আমাদের সামনে। এই সবে শুরু।


প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এসেছে তা মোকাবিলার করার জন্য আমরা তৈরি। এনিয়ে দেশবাসীকে নিশ্চিন্ত করছি।  এই অবস্থায় খুব প্রয়োজন না থাকলে বাড়ি থেকে বের হবেন না।


এদিকে, কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে আগামিকাল বিকেল থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনে যাচ্ছে গোটা রাজ্য়। সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। বন্ধ থাকবে বেশিরভাগ দোকানপাট। আগামিকাল বিকেল থেকে রাজ্যে কোনও গণপরিবহণ চলবে না। বন্ধ থাকবে সব দোকান, অফিস, কল কারখানা, গোডাউন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সবাইকে বাড়িতে থাকার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।


আরও পড়ুন-Live: ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৬১, রাজ্যে ৭, মোট মৃত্যু ৭


বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পরিবহণ লকডাউনের আওতায় পড়বে না। খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী গাড়িগুলিকেও ছাড় দেওয়া হবে। আদালত, সংশোধনাগার, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিস, আধাসেনা, বিদ্যুত্, জল, দমকল, জরুরি পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, ATM, সবজি, ফল, মাছ-মাংস, দুধ, পাউরুটি আওতার বাইরে থাকবে। পেট্রোল পাম্প, রান্নার গ্যাস, ওষুধের দোকান ও সংবাদমাধ্যমকেও শাটডাউনের আওতায় থাকবে না। ৭ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ হল।