ওয়েব ডেস্ক : সীমান্তে বারুদের গন্ধ। উত্তর প্রদেশে তে ভোটের গন্ধ। হিন্দি বলয় জুড়ে জোটের গন্ধ। বিজেপিকে থামাতে হাত ধরাধরির হিসেব কষছে সাবেক জনতা পরিবার। শক্তিশালী বন্ধু হিসেবে ভাবা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুই রাজ্য। দুই যাত্রা। হরিয়ানায় প্রয়াত সেনাকর্মীর শেষযাত্রা। লখনউতে সমাজবাদী পার্টির রথযাত্রা। এই দুই যাত্রা ঘিরেই বৃহস্পতিবার দিনভর ঘুরপাক খেল জাতীয় রাজনীতি। নিশানায় একজনই। সবার শত্রু নরেন্দ্র মোদী। সুবেদার রামকিষণের শেষকৃত্যে যোগ দিতে, হরিয়ানার প্রত্যন্ত গ্রামে ভেঙে পড়লেন দিল্লির হেভিওয়েটরা। একই শোকযাত্রায় সামিল রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একতার বার্তা দিতে গ্রামে হাজির মমতার দূত ডেরেক ওব্রায়েনও।


আরও পড়ুন- আত্মঘাতী সেনাকর্মীর শেষযাত্রায় রাহুল গান্ধী, 'পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন প্রধানমন্ত্রী' দাবি অরবিন্দের


লখনউতে আবার অন্যযাত্রা। ভোটের দোরগোরায় উত্তরপ্রদেশ। একটি জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে রাখা হয়েছে বিজেপিকে। সপার পক্ষে ভোটের হিসেব ভাল নয়। তাই পাল্টা প্রচারে পথে অখিলেশ। ঘরোয়া অশান্তি ঢেকে রেখে বহু কষ্টে গোটা দলকে একমঞ্চে আনা গেছে। রথের প্রচার স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু, সপার নেতাজি জানেন এটা যথেষ্ট নয়। তিনি চান বিজেপি বিরোধী মহাজোট। জোটের হিসেব অনেকটাই খোলসা হবে শনিবার লখনউয়ে। সমাজবাদী পার্টির রজতজয়ন্তী সমারোহ। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে রাজ্যে বার্তা পাঠিয়েছেন মুলায়ম। বিহারেরলালুর জোটসঙ্গী নীতীশ কুমার অবশ্য, মুলায়মের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। তিনি পাঠাচ্ছেন শরদ যাদবকে। বিজেপি বিরোধী মহাজোটে মায়াবতী ও কংগ্রেসকেও সামিল করার পক্ষপাতী বিহারের বিকাশ পুরুষ। মাথায় রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।


মুলায়মের মহা সমারোহে নেই মমতাও। তবে সপার শনিবারের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠাবেন তিনি। দলের রজতজয়ন্তী উত্‍সবকে জনতা পরিবারের রি-ইউনিয়নে পরিণত করতে চান মুলায়ম। শনিবার লখনউয়ে তারকা সমাবেশ হলেও, জোটের পথ মসৃন হবে না। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ জোট ঘিরে মতান্তর রয়েছে সপার অন্দরেই। কংগ্রেসকে ঘিরে জনতা পরিবারে রয়ে গেছে মতবিরোধ।