ওয়েব ডেস্ক : 'বুলেট স্বপ্নে'র দৌড় শুরু ভারতের। সবরমতী রেল স্টেশনে বুলেট ট্রেনের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। ২০২২-এর ১৫ অগাস্ট,  স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে প্রথম বুলেট ট্রেনের সফরসঙ্গী হতে চলেছে ভারতবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ বছর ব্যপী এই প্রোজেক্টে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছরের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট খরচের ৮১ শতাংশই দেবে জাপান। ০.১ শতাংশ হারে ন্যূনতম সুদে মোট ৮৮ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা আসবে 'মোদীবন্ধু' শিনজো আবের দেশ থেকে। এই ঋণ শোধ করতে ভারতকে সময়ে দেওয়া হবে ৫০ বছর। এরপরেও ভারত ঋণশোধ না করতে পারলে, জাপানের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে আরও ১৫ বছর 'গ্রেস পিরিয়ড'।


শুধু ট্রেনই নয়। বুলেট স্বপ্নের দৌড়কে সফল করতে ভারতকে তৈরি করতে হবে অত্যাঝুনিক রেলট্র্যাক। সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ প্রোজেক্টের জন্য দরকার ১২০ লাখ কিউবিক মিটার কংক্রিট, ৫৫ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট এবং মোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন স্টিল।


তবে বুলেট ট্রেন নির্মাণ ব্যয়সাপেক্ষ হলেও সূত্রের খবর, ভাড়ার ক্ষেত্রে তার প্রভাব বিশেষভাবে কিছু পড়বে না। সাধারণ বাতানুকুল কামরার ভাড়ার থেকে সামান্য কিছু বেশি হবে বুলেট ট্রেনের ভাড়া এমনই খবর জি নিউজ সূত্রে। এমনিতে মুম্বই-আমেদাবাদ রুটে ন্যূনতম বিমানভাড়া পড়ে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা। সেখানে বুলেট ট্রেনের ভাড়া হতে চলেছে ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।


সেইসঙ্গে, এই প্রোজেক্টে ২০,০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার। এরমধ্যে ১৬,০০০ মানুষকে চুক্তিভিত্তিকে নিয়োগ করা হবে।


আরও পড়ুন, ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন : দেখে নিন কী কী থাকছে