ওয়েব ডেস্ক: নেতাজি যুদ্ধপরাধী! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলিকে লেখা চিঠিতে এমনটাই নাকি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহরু! আর এই নথি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কংগ্রেসের দাবি  চিঠিটি জাল! চিঠিতে নেই নেহরুর কোনও সইও। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই কী নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল? পঁয়তাল্লিশের আঠারোই অগাস্টের পরও কী জীবিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু? বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে এমনটা সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারেননি নেহরু। আর তাই চিঠি লিখে বসেছিলেন তত্কালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্স এটলিকে। নেতাজি ফাইল প্রকাশ্যে আসায় সামনে এসছে এমনই একটি চিঠি। আর সেই চিঠি ঘিরেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। পয়তাল্লিশেরই ডিসেম্বরে এটলিকে  নেহরু লিখছেন , বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, এটলির চোখে যুদ্ধপরাধী  সুভাষ চন্দ্র বসু কে রাশিয়ায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন স্টালিন।আর এ চিঠি সামনে আসতেই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশ্ন ১. সহযোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসুকে কেন'যুদ্ধপরাধী' বলে উল্লেখ করলেন নেহরু?
প্রশ্ন ২. কেনই বা তিনি এ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বললেন এটলিকে?
প্রশ্ন ৩.  অগাস্টে বিমান দুর্ঘটনার খবর জানার পরেও ডিসেম্বরে নেতাজিকে নিয়ে এ চিঠি লেখার অর্থ কী?
প্রশ্ন ৪. তাহলে কী  নেহরু বিশ্বাস করতেন নেতাজি বেঁচে আছেন?


আর এই নথিটি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেহরুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের দাবি পুরো চিঠিটাই জাল! পুরোটই বিজেপির নোংড়া ষড়যন্ত্র। প্রসঙ্গত নথিটিতে জওহরলাল নেহরুর কোনও সই নেই। চিঠিটির সত্যতা নিয়ে সংশয় সুগত বসুর গলাতেও। সইছাড়া নেহরুর এই চিঠির ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও নেতাজি ফাইল প্রকাশের পর এই নেহরুর এই চিঠি নিয়েই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি।