নিজস্ব প্রতিবেদন:  ২২জন জওয়ান শহিদ, সঙ্গে ৩০-এর অধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে মাওবাদী নিকেশ হয়েছে মাত্র ১০ জন। ঠিক কোঁন ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তাঁরা। যে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে পারলেন না  সিআরপিএফের বিশেষ কোবরা বাহিনী! উঠছে প্রশ্ন। মাওবাদীদের পাতা ফাঁদে সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ওয়াকিবহাল ছিলেন না তাঁরা? সিআরপিএফ কর্তা কুলদীপ সিংহ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়ে আধাসেনার অভিযানে কোনও ত্রুটি ছিল না। মাওবাদীদের পাতা ‘ইউ আকৃতি’ ফাঁদে পা  দিয়েছিল বাহিনী। প্রায় শক্তিশালী ৪০০ জন মাওবাদী হামলা চালায় জওয়ানদের উপর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মাওবাদীদের নিকেশ করার জন্যই জঙ্গলের ভিতর ঢোকে  সিআরপিএফ। গাছপালা হীন খোলা জায়গায় জওয়ানদের ঘিরে ধরে ৪০০ মাওবাদী। চলে গুলির বৃষ্টি। এমনকি  আইইডি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। গাছের আড়ালে লোকানো বা পালিয়ে যাওয়ার পথ পায়না তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ছত্তীসগঢ়ে গ্রেনেড-রকেটে হানা করে ৪০০ জওয়ান। 


আজ (সোমবার) সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছয় ছত্তিসগঢ়ে। জগদলপুরেই শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর বিজাপুরে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। রায়পুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করতেও যান শাহ।  


প্রসঙ্গত, ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে মাওনেতা হিদমার (Hidma) লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে সিকমা-বিজাপুর সীমান্তে এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিস। কিন্তু সময়ের সাথে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে এই ঘটনায়। জওয়ানদের আসলে ফাঁদে ফেলবারই চেষ্টা করেছিল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় মাও নেতা হিদমা থাকার কথা বলে বাহিনীকে নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়, সেখানে আগে থেকেই সশস্ত্র মাওবাদীরা অপেক্ষা করছিল। বাহিনী নামতেই সেখানে চলতে থাকে গুলি। যদিও সত্যতা এখনও সামনে আসেনি। জানা গিয়েছে, এই হিদমা হল তাবড় মাওবাদী নেতা। সম্প্রতি যার মাথার দাম ৪০ লাখ টাকা। আর এই নেতা থাকার টোপ দিয়েই সম্ভবত জওয়ানদের ওপর হামলা চলে। ৪০ বছর বয়সী এই হিদমা সুকমা জেলার পূভার্তি গ্রামের এক আদিবাসী নেতা।