মমতাকে সাহায্য করার জন্য প্রশান্তের থেকে ব্যাখ্যা চাইলেন নীতীশ
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রে খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রশান্তের সংস্থা তৃণমূলের ‘রণনীতি’ নির্ধারণে কাজ করবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করবেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-র সহ-সভাপতি-ও। বিজেপি শরিক দলের কর্মী হয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধেই ‘রণনীতি’ ঠিক করবেন প্রশান্ত কিশোর! এটা ভাল চোখে নেননি দলের অন্দরের কর্মীরা। শনিবার, কার্যত চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেডি(ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। বলতে বাধ্য হন, আগামিকাল দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। রবিবার সেই বৈঠক হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রে খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রশান্তের সংস্থা তৃণমূলের ‘রণনীতি’ নির্ধারণে কাজ করবে। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন গত বারের ৩৪ থেকে একধাক্কায় ২২-এ নেমে আসে। দলের খারাপ ফল হওয়ার পরই বিজেপি, জেডিইউ, কংগ্রেসের মতোই এই প্রথম বাইরে থেকে স্পেশ্যাল রণনীতিকার নিয়ে এসে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মায় দল বিপুল জয় পেয়েছে। কিন্তু বঙ্গে বিজেপির ‘বাড় বাড়ন্ত’ হওয়ায় কিছুটা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হয়েছে তৃণমূলের। এ বারের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে ১৮টি আসন পায় বিজেপি।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘কুত্সা’ রটানোর অভিযোগে গ্রেফতার সাংবাদিক, নিউজ চ্যানেলের এডিটর
প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন তাঁর ক্যারিশ্মা। ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, ২০১৪ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হওয়ার নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোর মস্তিষ্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। এর পর পঞ্জাব, বিহার এমনকি সম্প্রতি অন্ধ্র প্রদেশে জগন্মোহন রেড্ডির ব্যাপকে জয়েও তাঁর ভূমিকা রয়েছে।