নিজস্ব প্রতিবেদন: মোটরবাইক চোর সন্দেহে বেধড়ক পেটানো হল এক ব্যক্তিকে। এক-দু’ঘণ্টা নয়, পোস্টে বেঁধে টানা সাত ঘণ্টা পেটানো হয় তাঁকে। জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলানোর চেষ্টা হয়। অচৈতন্য হয়ে পড়লে পুলিস উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ততক্ষণে ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ঝড়খণ্ডের সেরাইকেলায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তরবেজ আনসারি নামে ২৪ বছরের তরুণকে বাইক চোর সন্দেহে চড়াও হয় জনতা। গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ওই ব্যক্তিকে ঘিরে মারধর শুরু করে। লাঠি, চড়, ঘুসি তো ছিলই পরে পোস্টে বেঁধে ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁর উপর চলে নির্মম অত্যাচার। জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলানোর চেষ্টা চলে। রাতভর অকথ্য অত্যাচারে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরবেজ। এর পর তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তরবেজ এক আত্মীয় জানান, মঙ্গলবার কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে জামসেদপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তরবেজ। তাঁর বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ার বিমানবন্দরের বিপণি থেকে চুরি, সাসপেন্ড এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান চালক



তরবেজের মৃত্যু জন্য পুলিসের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় দাঁড়  করান তাঁর পরিজনেরা। পুলিসের হেফাজতে থাকাকালীন তরবেজের যথাযথ চিকিত্সা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চেক-আপের পর সেরাইকেলা জেলে তরবেজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিজনদের অভিযোগ, তরেজের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পরিজনদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। এক আত্মীয়ের কথায়, পুলিস জানায় চোরের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। তাঁকেই জেলে পুরে দেওয়ার হুমকি দেয় পুলিস।


তবরেজের মৃত্যু খবর বিশ্বাস না করে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পুলিসের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন পরিজনেরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মোদীর সবকা বিশ্বাস স্লোগানের কটাক্ষ করেন হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি।