Jharkhand Political Turmoile: রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে, সোরেনের বাসভবন থেকে বিধায়কদের নিয়ে অজানা গন্তব্যে ছুটল বাস
রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক নিশিকান্ত দুবে ট্যইট করেছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি এসেছে। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকার বাঁচাতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। বিধায়ক ভাঙানো রুখতে আগেভাবেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস বিধায়কদের রিসর্টে রাখার ব্যবস্থা করলেন হেমন্ত। আজ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের বাসে চাপিয়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দিল একটি বাস। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ওইসব বিধায়কদের ছত্তীসগঢ়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খনি কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওার সম্ভাবনা তৈরির হরও আজ সকালে তাঁর বাসভবনে বিধায়কদের একটি বৈঠক ডাকেন তিনি। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়করা তাদের লাগেজ সঙ্গে করে আনেন। ফলে মনে করা হচ্ছিল তারা রাজ্য ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারেন।
আরও পড়ুন-বোলপুরে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় মিলল অনুব্রত-কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিস
উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার রেয়েছে ৩০ বিধায়ক, কংগ্রেসের ১৮ ও আরজেডির ১ বিধায়ক রয়েছেন। এখন খনি লিজ দেওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন সোরেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এনিয়ে রাজ্যপালের তরফে এখনও কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে রাজ্যে একটি জল্পনা রটে যায়, হেমন্ত সোরেরেন বিধায়কপদ খারিজের নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নোটিসের পর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, একটি কথা শোনা যাচ্ছে যে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার সুপারিশ করে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্ত ওই ধরনের কোনও যোগাযোগ বা চিঠি নির্বাতন কমিশন বা রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে করা হয়নি।
হেমন্ত সোরেন দাবি করেছেন, বিজেপি তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্য়েই রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক নিশিকান্ত দুবে ট্যইট করেছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি এসেছে। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাজ্যের খনিমন্ত্রী অর্থাত্ নিজেকেই খনির লিজ দিয়েছেন। এনিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই তার বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করে বিজেপি। রাজ্যপাল ওই আবেদন পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে।