নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় ৪ জঙ্গিকে খতম করার পর শুক্রবার সাম্বা সীমান্তে শুরু হয়েছিল টানেল খোঁজার অভিযান। কারণ সীমান্তরক্ষী বাহিনী সন্দেহ ছিল সীমান্ত এলাকায় কোনও টানেলের মাধ্যমে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়েছিল ওই ৪ জঙ্গি। রবিবার সাম্বার রেগাল এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেরকমই একটি টানেলের সন্ধান পেল বিএসএফ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কংসাবতী ভবনে ঢোকার আগে গাড়ি থেকে নামলেনও মুখ্যমন্ত্রী


বিএসএফের তরফে জানান হয়েছে, টহলদারি বাহিনী সাম্বায় ওই টানেলের খোঁজ পেয়েছে। ওই টানেলের মাধ্যমে জঙ্গিরা সীমান্ত পার করে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার নাগরোটায় ৪ জঙ্গি এনকাউন্টারে খতম হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় টানেল খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। সেনা ও রাজ্য পুলিস টানেল খোঁজার কাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে।


উল্লেখ্য, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই ৪ জঙ্গি জম্মুর সাম্বা সেক্টর দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। তারপর জাটওয়াল থেকে তারা একটি ট্রাকে চড়ে কাঠুয়ার দিকে রওনা দেয়। জাটওয়াল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে পাকিস্তানের শাকারগড় জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ট্রাকটিকে বাম টোল প্লাজায় আটক করে সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। পুলিস দেখেই ট্রাক ফেলে জঙ্গলে পালায় ট্রাকের চালক। অন্যদিকে, ভেতরে থাকা জঙ্গিরা পুলিস ও সোনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করে দেয়।


আরও পড়ুন-ভারতী ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির মিছিল আটকানোর অভিযোগ, রণক্ষেত্র পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর


নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি এ কে ৪৭ রাইফেল, ২৯টি গ্রেনেড, ২৩ ম্যাগাজিন, ১০টি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার। এছাড়াও উদ্ধার হয় একটি জিপিএস সিস্টেম, একটি ক্য়াসিও ঘড়ি। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারতে ঢোকার পরই জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আবদুর রউফ আসগার ও কাশ্মীরে তাদের এজেন্ট মহম্মদ আসগার খান কাশ্মীরি।