নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় চূড়ান্ত নাটক। দুপক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানানোর পরই বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বিজেপি ইশারায় রাজ্যপাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ধেয় প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তার আগে পিপলস কনফারেন্সের নেতা সাজ্জাত লোন সরকার গঠনের দাবি জানান। দাবি করেন, বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক-সহ আরও ১৮জনের বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর। বলে রাখি, সাজ্জাত লোনের দলের কাছে রয়েছে ২ জন বিধায়ক। আর সেই দুজন বিধায়ক নিয়েই সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে ফেলেন সাজ্জাত। 


তার আগেই আবার বিরোধী শিবিরে শুরু হয়েছিল তত্পরতা। এনসি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পিডিপি সরকার গঠন করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তারপরই এনসি ও কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের দাবি করেন মেহবুবা মুফতি। 


বিরোধীদের অভিযোগ, মহাজোটকে ঠেকাতেই সাজ্জাত লোনকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি। বিধানসভাই ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। 


জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দাবি করেন, গত ৫ মাস ধরে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু মেহবুবা মুফতির সরকার গঠনের আবেদন করার কয়েক মিনিটে মধ্যেই আচমকা বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল। 


এর পিছনে বিজেপির হাত দেখতে পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। একইসুরে কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজ বলেন, আদালতের শরণাপন্ন হওয়া উচিক মেহবুবা মুফতির। অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে বিধানসভা ভেঙে দিয়েছেন রাজ্যপাল। 


জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে মেহবুবা মুফতি সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে বিজেপি। বর্তমানে রাজ্যপালের শাসনে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর।  
                  
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ৮৭টি আসনের জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোটে ২৫টি পেয়েছিল বিজেপি। পিডিপি জিতেছিল ২৮টি আসন। ন্যাশনাল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১৫ ও ১২। ফলে তিনটি দল একজোট হলে আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫।


আরও পড়ুন-'ভারত মাতা কি জয়' থামিয়ে কংগ্রেস নেতা বললেন, সনিয়া গান্ধী জিন্দাবাদ, দেখুন ভিডিও