নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর খবরের জেরে অনেকাংশে চাপ পড়ে গেল জম্মু ও কাশ্মীর। গত বছর এই দিনেই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্র। এর মধ্যেই সেনা মোড়কে এক বছর পার করে দিয়েছে কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটি। কিন্তু এই এক বছরে কী বদল হল কাশ্মীরে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

# পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৫৪টি আইনের মধ্যে ১৬৪টি আইন বাতিল হয়েছে। ১৩৮ আইনকে পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ১৭০টি কেন্দ্রীয় আইন বলবত হয়েছে।


# রাজ্যে সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ ২৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্র ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দিয়েছে।


# ৩৭০ ধারা রদের পর উপত্যকায় হিংসা অনেকটাই কমেছে। জঙ্গিদের নিকেশ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। কেন্দ্রের হিসেব মতো কাশ্মীরের জঙ্গি হামলা অন্তত ৩৬ শতাংশ কমেছে।


আরও পড়ুন-বাবরি ধ্বংসের জন্য কংগ্রেসও সমান দায়ী, ভূমিপুজো শেষ হতেই সরব ওয়েসি


# ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে জঙ্গি হামলার সংখ্যা ছিল ১৮৮। ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ১২০। ১২৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে।


# ২০১৯ সালে কাশ্মীরের মৃত্যু হয়েছিল ৭৫ সেনা ও ২৩ সাধারণ মানুষের। ২০২০ সালে সেনা শাহিদ হয়েছেন ৩৫ জন। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন।


# জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেনা। নিহত হয়েছে হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু, লস্কর কমান্ডার হায়দার, জইশ কমান্ডার কারি ইয়াসির ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ কমান্ডার বুরহান কোকা। 


# কেন্দ্রীয় সরকারে তথ্য অনুযায়ী কাশ্মীরের যুবকদের জঙ্গি শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রবণতা কমেছে ৪০ শতাংশ।


# চার লাখেরও বেশি মানুষকে স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে।


# ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু ও কাশ্মীরের কাজের বাজার খুলেছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০,০০০ শূন্য পদ রয়েছে। সেগুলিতে শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে।
 
# পাহাড়ী ভাষাভাষী মানুষের(৪ শতাংশ) জন্য সংরক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। আপাতত তা এলওসিতে যাঁরা থাকেন তাদের দেওয়া হবে। এতে উপকৃত হবে ৭৫,০০০ পরিবার।


আরও পড়ুন-'মুসলিম প্রধান দেশেও রামের উপাসনা হয়, এটাই রামায়ণের মাহাত্ম্য'


# দুনিয়া সবচেয়ে উচু সেতু আাগামী বছরই চালু হয়ে যাবে। এর ওপরে দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।


# পাঁচ দশক ধরে পড়ে থাকা শাহপুর-কান্দি বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।


# ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর ২.৫ লাখ শিক্ষিত যুবক সরকারি খাতায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এদের মধ্যে ১.৫ স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি রয়েছেন।