নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতা রুখে দিল শ্রীনগর পুলিস। উপত্যকায় হাতেনাতে পাকড়াও ৫ জইশ জঙ্গি। ধৃতরা হজরতবাল এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩৫৬ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পর থেকেই মোটামুটি শান্ত উপত্যকা। এখনও গৃহবন্দি ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  ফারুক -ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। তারইমধ্যে সামনে এল বড়সড় নাশকতার ছক।  চলতি মাসের শুরুতে উপত্যকার হজরতবাল এলাকায় গ্রেনেড হামলা হয়। নভেম্বরে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ গেটেও একইরকম হামলার ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করে শ্রীনগর পুলিস। তাদের জেরা করে আরও দুজনের খোঁজ মেলে। হাতেনাতে পাঁচজনকে পাকড়াও করে পুলিস। জেরার পর সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়,শুধু গ্রেনেড হামলা নয়। উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক কষছিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ- মহম্মদ। ধৃতদের নাম- ইজাজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ, নাসির আহমেদ ও মীরফারুক আহমেদ। 


সকলে হজরতবাল এলাকার বাসিন্দা। ৫ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। তাদের কাছে মিলেছে- আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকি টকি, বিস্ফোরক লাগানো জ্যাকেট, বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক, বল বিয়ারিং, ডিটোনেটর ও নাইট্রিক অ্যাসিডের বোতল। 


বিস্ফোরক তৈরির ছক কষছিল জঙ্গিরা। বিস্ফোরক জ্যাকেট দেখে পুলিসের অনুমান, সম্ভবত জনবহুল এলাকায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ছক ছিল তাদের। দুদিন আগে অবন্তীপুরার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার বিরুদ্ধে হিজবুল জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগ ছিল। তার ঠিক পরেই জালে পাঁচ জইশ জঙ্গি। পুরোপুরি স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার আগে নতুন করে উদ্বেগের মেঘ উপত্যকার আকাশে।


আরও পড়ুন- দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের? কিছুই জানি না, BBC-কে জানালেন মমতা