নিজস্ব প্রতিবেদন: পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিস সাংবাদিক বৈঠক করে ছবিও প্রকাশ করেছে। কিন্তু দমছেন না ঐশী ঘোষ। বলছেন, ''আমি মুখোশ পরে ছিলাম। আমিই আক্রান্ত। রক্তে ভিজে গিয়েছিল আমার পোশাক। আইনের উপরে ভরসা রয়েছে।'' একইসঙ্গে বলে দিয়েছেন,''দিল্লি পুলিসকে ভয় পাই না।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ জানুয়ারি জেএনইউ-তে হিংসার তদন্তে একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিস। তার মধ্যে রয়েছে ঐশী ঘোষও। কী বলছেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী? ঐশীর কথায়,''দেশের আইনে ভরসা রাখছি। স্বচ্ছ তদন্ত হবে। সুবিচার পাবই। কিন্তু দিল্লি পুলিস কেন পক্ষপাতদুষ্ট? আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর-ও নেওয়া হল না। ফুটেজ প্রকাশ করুক দিল্লি পুলিস। কোনও ভুল করিনি। দিল্লি পুলিসকে ভয় পাই না। আইনকে সম্মান করি। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলবে।''



ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ৩ মাস ধরে অচল জেএনইউ ক্যাম্পাস। এহেন পরিস্থিতিতে জেএনইউ-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন  মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের সচিব অমিত খারে। বৈঠকে খারে আশ্বস্ত করেছেন, ছাত্রদের পরিষেবা খরচ বহন করবে ইউজিসি। ঐশী ঘোষ বলেন,''ইতিবাচক পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন খারে। শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করা হবে।'' উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করেন ঐশীরা। JNUSU সভানেত্রী বলেন, ''যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছি। নতুন উপাচার্যের সঙ্গে নতুনভাবে শুরু করতে চাই। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে আমরা।''   




দিল্লি পুলিসের ডিসিপি (অপরাধ) জয় টিরকে জানান, ৫ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৭ মিনিটে পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। তাদের মধ্যে ছিলেন JNUSU সভানেত্রী ঐশীও। ডিসিপি আরও জানান, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। তাতে বাধা দেয় চারটি বাম সংগঠন SFI,AISF, AISA ও DSF। সার্ভাররুমে চালানো হয় ভাঙচুর। এমনকি যে ছাত্ররা রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল। মুখোশধারী ছাত্রছাত্রীদের সনাক্তও করেছে দিল্লি পুলিস। বেশিরভাগই বামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।  দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশী ঘোষ, ভাস্কর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেল। এর মধ্যে ঐশী ঘোষ জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী। যোগেন্দ্র ভারদ্বাজ ও বিকাশ পটেল এবিভিপি-র সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ডিসিপি আরও জানান, ৫ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৭ মিনিটে পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। তাদের মধ্যে ছিলেন JNUSU সভানেত্রী ঐশীও।  


আরও পড়ুন- বিক্ষোভের শঙ্কা, সন্ধেয় নয়, আলো থাকতেই আকাশপথে কলকাতায় আসবেন মোদী