১৭ জানুয়ারি, ২০১০ নবরত্নের শেষ রত্ন (কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী) জ্যোতি বসু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সল্টলেকের এক বেসরকারি নার্সিং হোমের সাদা চাদরে মোড়া কেবিনে। আজও সে কেবিন অবিচল বসু স্মৃতিকে সঙ্গে নিয়েই। ব্যারিস্টার জ্যোতি বসুর 'কমরেড' জ্যোতি বসু হওয়ার ইতিহাসটা একবার উল্টে পাল্টে দেখলেই কাঁটা বেঁধে । বাঙালি সাহেব হঠাৎ কীভাবে শ্রমিক হলেন? কোর্ট চত্বরের যুক্তিবোধ, রাজনীতিতে লাল সেনানি, লড়াকু মানুষের গল্প বলতে গেলে অমর গাঁথা লিখে যেতে হয়। লেখা আছেও। তবে কিছু এমন তথ্য, এমন যা জানা-অজানা, তর্ক বিতর্কের জন্য রয়েই যায়, এমন কিছু তথ্য-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১। একবার নয়, দু-দু বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জ্যোতি বসুকে অনুরোধ করেছিলেন রাজীব গান্ধি। কেবল রাজীব গান্ধিই নন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জ্যোতি বসুর নাম প্রস্তাব করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবও।


২। ব্যারিস্টার জ্যোতি বসুর কথা লোক মুখে বহুল প্রচলিত। আর কী কী বিষয়ে দখল ছিল 'কমরেড' জ্যোতি বসুর? প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরাজিতে অনার্স তারপরই বিলেত সফর।


৩। কমিউনিস্ট পার্টি করার অনুপ্রেরণা কার থেকে পেয়েছেন? উত্তরটা অবশ্যই মুজফফর আহমেদ ওরফে কাকা বাবু হলে, সেটা আংশিক সত্য। দার্শনিক রজনী পাম দত্তই ছিলেন তাঁর প্রথম 'গুরু'।


৪। ব্রিটেনে থাকাকালীন কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বসু? প্রথমে ইন্ডিয়ান লিগ পরে লন্ডন মজলিস। এই লন্ডন মজলিসের হয়ে জহরলাল নেহেরুর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজক ছিলেন কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু। সালটা ছিল ১৯৩৮।


৫। ব্যারিস্টার ছিলেন বটে, কিন্তু একবারের জন্যও প্র্যাকটিস করেননি, কারণ ইচ্ছে ছিল পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী হওয়ার।


৬। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ৩১ জন সদস্যের সঙ্গেই বহিষ্কৃত হয়েছিলেন জ্যোতি বসু।


৭। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কোন কোন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন জ্যোতি বসু? অনেকেরই জানা তবুও আরও একবার বলে দেওয়া, দফতর দুটি ছিল- অর্থমন্ত্রক ও পরিবহন।


৮। ২৩ বছর ধরে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার নজির একমাত্র জ্যোতি বসুর। কে ভাঙবেন জ্যোতি বসুর রেকর্ড? সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং (সম্ভাবত)।  


৯। ২৩ বছর বাংলাকে শাসন করেছে যে মস্তিষ্ক তা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর NIMHANS-এ সংরক্ষিত আছে জ্যোতি বসুর মস্তিষ্ক।