নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কমলনাথ। পরিষদীয় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে কমলনাথের নামে শিলমোহর পড়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মধ্যপ্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কংগ্রেস। তবে মায়াবতীর সমর্থন মিলতেই যাবতীয় আশঙ্কার মেঘ সরে যায়। কিন্তু কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। গ্বয়ালিয়র রাজ পরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কমলনাথের মধ্যে কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন, সেটাই ছিল প্রশ্ন। তবে সন্ধেয় পরিষদীয় দলের বৈঠকে গোটা চিত্র স্পষ্ট হয়ে গেল। 'মামা' শিবরাজের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কমলনাথ। 


মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয়ের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কে হবেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। ভোট পর্বের শুরু থেকে মঙ্গলবার ফল প্রকাশ পর্যন্ত, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'টি নাম বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। একজন গোয়ালিয়র রাজপরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর দ্বিতীয় জন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ।


মঙ্গলবার রাতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজ্যপালের কাছে দেখা করার সময় চান কমল নাথ। বুধবার সকালে দেখাও করেন। তখন থেকেই কমল নাথের পাল্লা ভারী বলেই মনে হতে থাকে। 


তার আগে সকালে শিবরাজ জনিয়ে দেন, বিজেপির হাতে সংখ্যা নেই তাই সরকার গঠন করার কোনও দাবি তিনি করবেন না। এদিন তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের কাছে পদত্যাগপত্রও দিয়ে আসেন।দলের এই হারের দায় কার? সাংবাদিকদের ওই প্রশ্নের উত্তরে শিবরাজ সিং বলেন, ''মানুষের এই রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। জোরাল লড়াই হয়েছে। রাজ্যের মানুষকে হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। এই হারের দায় একমাত্র আমার।'' তিনি আরও বলেন, ''দলের কর্মী-সমর্করা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তার পরেও আমরা হেরেছি। এর দায় আমি এড়িয়ে যেতে পারি না।''


মধ্যপ্রদেশে হারের একাধিক কারণ খুঁজে বের করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের দালিত ও পিছড়ে বর্গের ক্ষোভ, অনুন্নয়ণ ও বেকারি, কৃষকদের দুরবস্থা, ত্রাণে দুর্ণীতি, ব্যাপম কেলেঙ্কারির মতো বিষয়। তবে রাজ্য এমন ২০টি আসন রয়েছে যেখানে মাত্র হাজার দুই ভোটে হেরেছে বিজেপি।


আরও পড়ুন- মধ্যপ্রদেশে অভিশপ্ত ৪,৩৩৭টি ভোট সরিয়ে দিল বিজেপিকে