নিজস্ব প্রতিবেদন: সব জল্পনার অবসান। দিনভর আলাপ-আলোচনা-বৈঠকের পর অবশেষে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে কমলনাথকে বসাতে চলেছে কংগ্রেস। শিবরাজ সিংয়ের উত্তরসূরী হতে চলেছেন কমলনাথ। তবে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর পদে কেউ থাকছেন না। মনে করা হয়েছিল, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে জ্যোতিরাদিত্যকে বসিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেন রাহুল গান্ধী। এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠকে কমলনাথের নামে পড়ে শিলমোহর। এরপর মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস টুইট করে কমলনাথের নাম ঘোষণা করে।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৭২ বছরের কমলনাথ গান্ধী পরিবারের বিশ্বাসের পাত্র। মধ্যপ্রদেশ ছিন্দওয়াড়া লোকসভা থেকে একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ঠিক আগেই তাঁকে প্রদেশ সভাপতি করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মাস্ট্রারস্ট্রোক খেটে গিয়েছে। ১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশে প্রত্যাবর্তন করেছে কংগ্রেস। শিবরাজ সিং চৌহানের মতো জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে কমলের মস্তিষ্কের উপরে ভরসা রেখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। সেই ভরসার দাম দিয়েছেন কমলনাথ। 



কমলনাথকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করলেও প্রচার কমিটির প্রধান ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। জ্যোতিরাদিত্য ও কমলনাথের মধ্যে শুরু থেকেই চলছিল চাপা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন জেতার পর তা প্রকাশ্যে চলে আসে। সকাল থেকে দফায় দফায় স্লোগান দিতে থাকেন দুই নেতার সমর্থকরা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কমলনাথ দুই দাবিদারকে নিয়েই বসেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে জারি থাকে অচলাবস্থা। শেষপর্যন্ত অভিজ্ঞতাকেই অগ্রাধিকার দিলেন রাহুল গান্ধী। বঞ্চিত থেকে গেলেন নবীন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কমলনাথ বলেন, ''মধ্যপ্রদেশবাসীর কাছে তিনি ঋণী। নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে কংগ্রেস''। কবে শপথগ্রহণ? কমলনাথ জানান, শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর এব্যাপারে জানাবেন। 


আরও পড়ুন-অসমের পঞ্চায়েত ভোটে দাগ কাটতে পারল না তৃণমূল