নিজস্ব প্রতিবেদন: সাহস করে বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধতে পেরেছিলেন। তার প্রতিদানে এখন ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বেডে। মাথায় গুরুতর আঘাত।  তবুও, হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি বলছেন, সবরীমালায় যাওয়ার জন্য অনেক মহিলার পথ সহজ করে দিলাম। কয়েক দশকের প্রথা ভেঙে গত ২ জানুয়ারি আপ্পার দর্শন করেন কনক দুর্গা ও বিধু আম্মিনি নামে দুই মহিলা ভক্ত। মঙ্গলবার বাড়ি ঢুকতেই শাশুড়ি ও স্বামীর হাতে বেধড়ক মার খাওয়ার অভিযোগ তুললেন কনক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কনক বলেন, বাড়ি ঢুকতেই তাঁকে লাঠিপেটা শুরু করে দেন তাঁর শাশুড়ি। অন্য পুরুষের সঙ্গে শোয়ার বদনাম দেন তাঁর স্বামী। কনক দুর্গার কথায়, যত ক্ষণ না মাটিতে পড়ে যাচ্ছেন, তাদের মার থামেনি। রক্তে ভেসে যায় মাথা। কোনও ভ্রুক্ষেপ না করেই বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ কনকের। শাশুড়ি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ৩৯ বছর বয়সী ওই সরকারি কর্মচারি।


আরও পড়ুন- ‘হর্ হর্ গঙ্গা’, কুম্ভমেলায় নিজের পুণ্যস্নানের ছবি পোস্ট স্মৃতি ইরানির


গত ২ জানুয়ারি কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় আয়াপ্পা দর্শন করেছেন কনক দুর্গারা। এরপর ১৩ দিন কোথায় ছিলেন তাঁরা? কনক বলেন, আয়াপ্পা দর্শনের পর থেকেই বারবার প্রাণনাশের হুমকি আসছিল। সরকারি নিরাপত্তায় গোপন আস্তানায় লুকিয়েছিলেন তাঁরা। যে কোনও সময় তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কায় এখনও দিন গুনছেন কনক দুর্গা।


আরও পড়ুন- বিকাশ-মন্ত্রের পাঁচটি সাফল্য জানালেন নরেন্দ্র মোদী


উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরোধিতায় নামেন বিক্ষোভকারী ভক্তরা। কংগ্রেস-বিজেপি-সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলিও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বেশ কয়েকজন মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করলে, বিক্ষোভকারীদের প্রবল চাপে ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। তবে, শেষমেশ রক্ষা করা যায়নি। এই প্রথম কনক ও বিধু আম্মিনি প্রাণনাশের তোয়াক্কা না করেই আয়াপ্পা দর্শন করেন, যা সবরীমালার ইতিহাসে নজির বলেই মনে করা হচ্ছে।