নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা চালানোর জন্য দিল্লির পুলিসকে অনুমতি দিয়েছে কেজরীবাল সরকার। তবে এতে দমছেন না কানহাইয়া কুমার। বরং দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি করেছেন সিপিআই নেতা। টুইটারে তাঁর প্রতিক্রিয়া, টিভি চ্যানেলে বিচার না বসিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কানহাইয়া কুমার টুইট করেছেন,''দেশদ্রোহ মামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ায় দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ। মামলাটিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য পুলিস ও সরকারি আধিকারিকদের অনুরোধ করছি। টেলিভিশন চ্যানেলে বিচার না বসিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে দ্রুত বিচারের আর্জি করছি।''    



এর পিছনে রাজনীতির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কানহাইয়া। লিখেছেন, দেশদ্রোহ মামলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি দরকার। কারণ দেশ জানতে পারবে রাজনৈতিক লাভের জন্য দেশদ্রোহের আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। মূল বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই এটা করা হয়েছে।       



 ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়ে ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন কানহাইয়া কুমার। গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে চিঠি দিয়ে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা তরাণ্বিত করার ছাড়পত্র চায় পুলিস। দিল্লি পুলিসের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন কেজরীবাল। বছরখানেক আগে কানহাইয়া কুমার-সহ আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল পুলিস। চার্জশিটে কানহাইয়া ছাড়াও নাম রয়েছে জেএনইউ-র দুই ছাত্র নেতা উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কিন্তু চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের অনুমতি। কিন্তু অনুমোদন দিতে গড়িমসি করে কেজরীবাল সরকার। অতিসম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে পুলিসকে আপ সরকারকে তদ্বির করতে নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ঝুলে ছিল দিল্লি পুলিসের আবেদন।     


আরও পড়ুন- ছবি: এক টেবিলে মুখোমুখি অমিত-মমতা, মধ্যাহ্নভোজন সারলেন ওড়িয়া খাবারে