`বিরূপ` দল, দেশদ্রোহ মামলায় সমন, নীতীশের মন্ত্রীর সঙ্গে Kanhaiya-র বৈঠকে জল্পনা
গতবছরের ১ ডিসেম্বর পটনা দলের অফিস সচিব ইন্দু ভূষণের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে কানহাইয়ার বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় দলবদলের মাঝেই পড়শি রাজ্য বিহারে জল্পনা উস্কে দিলেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। দেশের বাম রাজনীতির 'পোস্টার বয়' কানহাইয়ার (Kanhaiya Kumar) সঙ্গে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দলের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সাক্ষাৎ নিয়ে পটনায় এখন জোর চর্চা। অতিসম্প্রতি কানহাইয়াকে 'আচরণ' নিয়ে সতর্ক করেছে সিপিআই। এর মধ্যে আবার জেএনইউ স্লোগান-কাণ্ডে দেশদ্রোহ মামলায় কানহাইয়াকে (Kanhaiya Kumar) ১৫ মার্চ হাজিরা দিতে হবে দিল্লির আদালতে। এই প্রেক্ষাপটে কানহাইয়া-অশোক বৈঠক আরও বেশি করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
গতবছরের ১ ডিসেম্বর পটনা দলের অফিস সচিব ইন্দু ভূষণের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে কানহাইয়ার (Kanhaiya Kumar) বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সিপিআইয়ের অন্দরে প্রবীণ ও নবীন নেতৃত্বের মধ্যে চলছে সংঘাত। কানহাইয়া-ইন্দু ভূষণের মতান্তর তারই জের। তারপরই হায়দরাবাদে যুব নেতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়। সতর্ক করা হয় কানহাইয়া কুমারকে।
দলের সঙ্গে কানহাইয়ার এমন 'মধুর' সম্পর্কের মাঝেই দলীয় বিধায়ককে নিয়ে অশোক চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন কানহাইয়া (Kanhaiya Kumar)। জেডিইউ মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেন,'আদর্শগত ফারাক থাকলেও শাসক-বিরোধী দলের নেতারা তো দেখা-সাক্ষাৎ করেই থাকে।' সূত্রের খবর, কানহাইয়া দলকে জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতেই গিয়েছিলেন। এনিয়ে কানহাইয়া বা অশোক চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ইদানীং কানহাইয়া কুমারকে (Kanhaiya Kumar) প্রকাশ্যে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। টুইটারেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন সিপিআই নেতা। এ দিকে, ২০১৬ সালে জেএনইউ-তে দেশদ্রোহ মামলায় ১৫ মার্চ দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে হাজিরার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে কানহাইয়াকে। এই পরিস্থিতিতে কানহাইয়ার সঙ্গে বিজেপির শরিক দলের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে গুঞ্জন স্বাভাবিক বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- আব্বাসের 'আবদার' রাখতে হিমশিম Biman-Adhir; আসরে এবার সেলিম-মান্নান