নিজস্ব প্রতিবেদন : কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে চূড়ান্ত নাটক চলার পর অবশেষে জনতা দল সেকুলারের(জেডিএস)হাত ধরে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। একক বৃহত্তম দল হলেও বিজেপি যাতে সেখানে সরকার গড়ার সুযোগ না পায়, সেই লক্ষ্যে এইচ ডি কুমারস্বামীর হাতেই শেষ পর্যন্ত রাজ্য চালনার ভার তুলে দিয়েছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পর নাটকের অবসান ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কুমারস্বামী। যদিও, তারপর থেকে দেখা দেয় নতুন সমস্যা। জোট সরকারের দফতর বণ্টন নিয়ে বাড়ছিল জটিলতা। অবশেষে বুধবার ম্যারাথন বৈঠকের পর সেই সঙ্কটও কেটে গিয়েছে। আপাতত স্থির হয়েছে, রাজ্যের অর্থ দফতরের দায়িত্ব পাবে জেডিএস। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র দফতর থাকছে কংগ্রেসের হাতে। এছাড়াও, কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দফতর থাকছে কংগ্রেসের হাতে। পাশাপাশি, অর্থদফতর ছাড়া, শিক্ষা সহ আরও কয়েকটি দফতর থাকছে জেডিএসের দখলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কর্ণাটক নয়, এবার মোদী-শাহ'র নজর তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে


সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে দুই দলেরই বেশ কিছু শীর্ষ নেতা হাজির ছিলেন। তাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে কথা বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর মধ্যস্থতাতেই মন্ত্রীত্ব বণ্টন নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান ঘটে। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-জেডিএস জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামবে।  


প্রসঙ্গত, ১২ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। তবে, ১১২-র ম্যাজিক ফিগার তারা ছুঁতে পারেনি। ২২৪ আসনের এই বিধানসভায় এবার ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২২টিতে। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পেয়েছে ৭৮টি আসন। অন্যদিকে, জেডিএস জোট পেয়েছে ৩৮টি আসন। ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কর্ণাটক বিধানসভা দখলের দৌড়ে নেমে পড়ে সব দলই। দু'পক্ষই দেখা করে রাজ্যপাল বজুভাই বালার সঙ্গে। অবশেষে বিজেপিকে একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল। ১৭ই মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপির বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু, মাত্র আড়াই দিনের মাথায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও, শেষ পর্যন্ত তাতে ব্যর্থ হবে জেনেই সরে দাঁড়ান ইয়েদুরাপ্পা। অবশেষে সরকার গড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। তাদের দখলে রয়েছে ১১৬টি আসন।