নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্ধে ৭টা নাগাদ রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। আস্থা ভোট হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর ইস্তফার জল্পনা দেখা দিয়েছে। ইয়েদুরাপ্পাও গতবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই পথে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রীও এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।  সকালেই স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়েছিলেন, আজই আস্থা ভোটে যাবে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। জেডিএস দাবি করেছিল, বিক্ষুদ্ধ বিধায়কদের বিধানসভায় আসার নির্দেশ দিক স্পিকার। বিজেপি কীভাবে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বিধানসভায় তাঁদের জানানো উচিত। তবে, আজ ৬টার মধ্যেই আস্থা ভোট সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন স্পিকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জেডিএস-এর দাবির সমালোচনা করে বিজেপি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মুরলীধর রাও বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। বিক্ষুব্ধ ১৫ বিধায়কের উপর জোরাজুরি করা যাবে না সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তারা এই আবেদন করতে পারে না। কংগ্রেস-জেডিএস জোট এখন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। তবে, আগামিকাল ১১ বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে সমন করেছেন স্পিকার রমেশ কুমার। এর সঙ্গে আস্থাভোটের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ওয়াকিবহালের মতে, আজ যদি আস্থা ভোট সম্পন্ন হয়, তা হলে ওই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে পারেন স্পিকার। বিধান সৌধে যাওয়ার আগে রমেশ কুমার জানান, বিধায়করা ফ্লোরে না থাকলে, তাঁদের অনুপস্থিত ঘোষণা করা হবে।


উল্লেখ্য, দ্রুত আস্থা ভোট করানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নির্দল প্রার্থী। কিন্তু আজকে তাঁদের আবেদন শোনার দাবি খারিজ করে দেয় আদালত। স্পিকার রমেশ কুমার জানান, আজ ৬টার মধ্যেই আস্থা ভোট করা হবে। এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী এবং সিদ্দরামাইয়াও সম্মত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।


গত শুক্রবার, স্পিকারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী আবেদন করেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিধানসভায় আসার জন্য অনুরোধ করা হোক। বিজেপি দুর্নীতি ফাঁস করুক ওরা। এর পরই আজ ওই বিধায়কদের সমন করেন স্পিকার। জোট সরকারকে বিএসপির একমাত্র বিধায়ক এন মহেশ সমর্থন করবে বলে জানান দলের সুপ্রিমো মায়াবতী। সূত্রে খবর, আস্থা ভোটে যদি সরকার পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে পারেন কুমারস্বামী। পরিবর্তে কংগ্রেসের সিদ্দরামাইয়া বা শিবকুমার ওই পদে আসীন হতে পারেন। কিন্তু এখন যা অঙ্ক, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে বেগ পেতে হবে কুমারস্বামীদের।


আরও পড়ুন- বিজ্ঞানীদের পরাক্রম ও ১৩০ কোটি দেশবাসীর ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ সফল চন্দ্রযান-২-এর উত্ক্ষেপণে: প্রধানমন্ত্রী


গত শুক্রবার, গভর্নর বাজুভাই বালার দু’দুটি ‘লভ লেটার’ প্রত্যাখ্যান করলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। গতকাল দুপুর দেড়টার মধ্যে আস্থাভোট করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। যখন নির্ধারিত সময় পেরিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান কংগ্রেস-জেডিএস-এর বিধায়করা, ফের আরও একটি নোটস গভর্নর জারি করেন। বলা হয়, দিনের শেষে আস্থা ভোটে যাওয়া উচিত সরকারের। তখন কুমারস্বামীর কটাক্ষ, দ্বিতীয় ‘লভ লেটার’ ভীষণ ব্যথিত করল। এর পর কুমারস্বামী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “ক্ষমতায় ১৪ মাস থাকার পর আজ চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছি। আপনার সরকার গড়তেই পারেন। সোমবার কিংবা মঙ্গলবার যে কোনও দিনই। একটু ধৈর্য ধরুন।” পালটা ইয়েদুরাপ্পাও জানান, তাঁরা ধৈর্য ধরতে রাজি। এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, কতদূর যেতে চায় ওরা। এ দিন কুমারস্বামীর অভিযোগ, বিধায়কদের বিপথে চালিত করতে ৪০-৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। যদিও প্রথম থেকেই এই অভিযোগ খারিজ করেছেন ইয়েদুরাপ্পারা। তবে, বিজেপির দাবি, সোমবারই শেষ দিন কুমারস্বামী সরকারের।


এই মুহূর্তে যদি ১৫ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়, তাহলে জোট সরকারের হাতে ১০১ বিধায়ক থাকবে। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। পাশাপাশি, দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পাবে  বিজেপি। ফলে ২২৪ আসনে ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াবে ১০৫। হিসেব মতো বিজেপির ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ এখন সময়ের অপেক্ষা।