কর্ণাটকে বিদ্রোহী বিধায়কদের আস্থা ভোটে যেতে বাধ্য করা যাবে না, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
কর্ণাটকে দলের বিরুদ্ধে হেঁটে ইস্তফা দিয়ে দেন কংগ্রেস ও জেডিএস এর ১৫ বিধায়ক। কিন্তু স্পিকার এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওইসব বিধায়করা
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জোর ধাক্কা খেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। রাজ্যের ১৫ বিধায়ককে কোনওভাবেই আস্থা ভোটে অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না। পাশাপাশি ওইসব বিধায়কদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-বিনা হেলমেটে যাত্রা! পথ আটকাতে উল্টে ট্রাফিক পুলিসের উপরেই চড়াও হলেন মহিলা!
আগামিকাল কর্ণাটকে আস্থা ভোট। আর ঠিক আগের দিনই শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রবল চাপে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। আদালত জানিয়েছে, ওইসব বিধায়করা পার্টি হুইপ না মানলে তাদের বরখাস্ত করতে পারবে না পারবে না দল।
বিদ্রোহী বিধায়কদের কী হবে তা নিয়ে চাপ বাড়ছিল স্পিকারের ওপরে। আদালতের রায়ে সেই চাপও কিছুটা কমলো। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্পিকার ওই ১৫ বিধায়কের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা তাঁর বিষয়। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা জানিয়ে দিতে হবে আদালতকে।
আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ হেয়ার স্কুলে, সাতসকালেই অবরুদ্ধ কলেজস্ট্রিট
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে দলের বিরুদ্ধে হেঁটে ইস্তফা দিয়ে দেন কংগ্রেস ও জেডিএস এর ১৫ বিধায়ক। কিন্তু স্পিকার এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওইসব বিধায়করা। এখন ওইসব বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করা হলে কর্ণাটকে কুমারস্বামী সরকারের পতন হতে পারে। জোটের ক্ষমতা ১১৮ থেকে কমে হবে ১০০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১১৩ থেকে নেমে ১০৫ হয়ে যাবে। বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫ বিধায়ক। ২ নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থন করলে বিধায়ক সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১০৭। ফলে সরকার গঠনে বিজেপির সামনে কোনও বাধা থাকবে না।