নিজস্ব প্রতিবেদন: হিজাব বিতর্কে ইতিমধ্যেই বিতর্ক জোরদার হচ্ছে। রাজ্যের গণ্ডি ছেড়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল ও কলেজে ধর্মীয় পোশাক পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে পড়ুয়ারা। এই চাপানউতোরের মধ্যেই বুধবার অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে কর্ণাটক সরকার।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্তর্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজিয়েট অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (DCTE) বিভাগের অধীনে কলেজগুলি ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে থাকা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলির বিষয়ে সরকার এখনও স্পষ্ট নির্দেশ দেয়নি।


আরও পড়ুন, Hijab Row: এটা যেন ন্যাশনাল ইস্যুতে পরিণত না হয়! হিজাব-বিতর্কে সাবধানবাণী সুপ্রিম কোর্টের


এদিকে, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এক থেকে দশম শ্রেণির পর্যন্ত স্কুলগুলি আবার খুলবে। কারণ উচ্চ আদালত একটি অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত রাখা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিস সুপার (এসপি), পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডিপিআই) এবং সমস্ত জেলার জেলা পঞ্চায়েতের মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। .


প্রসঙ্গত, রাজ্যের উদিপি জেলায় এক কলেজে ৬ ছাত্রীকে হিজাব পরে আসতে নিষেধ করে কর্তৃপক্ষ। পরে এক ছাত্রী হিজাব পরে আসায় তাকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় একদল ছাত্র। পাল্টা আল্লাহু আকবর স্লোগান দেয় ওই ছাত্রী। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যের একাধিক অংশে। মামলা ওঠে কর্নাটক হাইকোর্টে। সেখানে হিজাবের পক্ষে সওয়াল করা হয়, হিজাব পরে কলেজে এলে কোনও সমস্যা হয় না। এটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই একই রঙের হিজাব পরে ক্লাসে এসে অন্য কারও ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে হিজাব বিরোধীদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক কেন?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)