নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার হাইকোর্টকে কর্ণাটক সরকার বলেছে যে হিজাব মামলার আবেদনকারীরা শুধুমাত্র মাথার স্কার্ফ পরার অনুমতি চাইছিল না বরং একটি ঘোষণাও চেয়েছিল। বরং ইসলাম অনুসরণকারী প্রত্যেককে এক ছাতার তলায় আনার জন্য হিজাব একটি ধর্মীয় অনুমোদনের অংশও হয়ে উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারও আবার ব্যক্ত করেছে যে হিজাব ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং নাভাদগি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চকে বলেছেন, "এটা এমন কোনও ভিন্ন মামলা নয় যেখানে আবেদনকারীরা একাই আদালতের সামনে এসেছেন৷ তারা প্রকৃতপক্ষে, একটি নির্দিষ্ট পোষাকের ধর্মীয় অনুমোদনের অংশ হওয়ার জন্য একটি ঘোষণা চাইছেন। যাতে যারা ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে তাদের প্রত্যেককে আবদ্ধ করতে পারে৷ এখানেইএই দাবির গুরুত্ব।”


কর্ণাটকের হিজাব মামলার শুনানির জন্য কর্ণাটকের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থি, বিচারপতি জে এম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটি গঠন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের উদিপির একটি কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরে আসা নিষিদ্ধ হওয়ার পর রাজ্যজুড়েই প্রতিবাদে সামিল হয় মুসলিম পড়ুয়ারা।


তাদের দাবি, কোনওদিন হিজাব পরে আসা নিয়ে কোনও সমস্য়া হয়নি। এতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। হঠাত্ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সরকারের। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরকারের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি এমন উত্তেজক হয়ে দাঁড়ায় যে ৩ দিন রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্ণাটক সরকার। আপাতত সেই মামলা চলছে কর্ণাটক হাইকোর্টে।    


আরও পড়ুন, Hijab Row: 'সংবিধান অনুযায়ী নাকি কারও খেয়ালে দেশ চলবে তা ঠিক করতে হবে', হিজাব বিতর্কে মন্তব্য শাহ-র


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)