লোকসভায় মোদীর নামেই ভোট, প্রমাণ করল কর্ণাটকের পুরনির্বাচনে বেহাল বিজেপি
রাজ্যে ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টিই পকেটে পুরেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস-জেডিএস একটা করে আসনে জয়লাভ করেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর নামেই লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল, তা সপ্তাখানেকের মধ্যেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কর্ণাটকের স্থানীয় নির্বাচনের ফল। বিজেপির চেয়ে আসন সংখ্যায় প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে কংগ্রেস। আর তা নিশ্চিতভাবেই হাসি ফোটাল সে রাজ্যে টালমাটাল কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে।
কর্ণাটকে মোট ৬৩টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে রয়এছে ৮টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, ৩৩টি টাউন মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল ও ২২টি টাউন পঞ্চায়েত। সবমিলিয়ে মোট ১৩৬১টি ওয়ার্ড। গত ২৯ মে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ভোটগণনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস এগিয়ে ৫০৯টি আসনে। ৩৬৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেসের শরিক জেডিএস এগিয়ে ১৭৪টি আসনে।
গতবার পুরভোটে কংগ্রেস জিতেছিল ৯৮২টি আসন। বিজেপি ৯২৯ ও জেডিএস ৩৭৫টি আসন। ৩২৯টি আসন জিতেছিল নির্দলরা।
সদ্য লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ধরাশায়ী করেছে বিজেপি। রাজ্যে ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টিই পকেটে পুরেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস-জেডিএস একটা করে আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপির ভোটের হারও ঈর্ষনীয়। ৫১.৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে কর্ণাটকের জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার। তৃতীয় স্থানে থাকা জেডিএস-এর কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে বৃহত্তম দল বিজেপিকে সে রাজ্যে ঠেকিয়ে রেখেছে কংগ্রেস। কিন্তু জোট সরকার শুরু থেকে নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছে। পুর নির্বাচনের ফল নিশ্চিতভাবে অক্সিজেন দেবে কর্ণাটক সরকারকে।
লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর কেন এমন ফল? রাজনৈতিক মহলের মতে, একবিংশ শতকে ভোটাররা বুদ্ধিমান হয়ে গিয়েছেন। এখন আর আগের মতো কোনও একটি নির্দিষ্ট দলের বিশ্বাসী ভোটার নেই। লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে চেয়ে ভোট দিয়েছিলেন কর্ণাটকবাসী। কিন্তু পুরনির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে স্থানীয় ইস্যু। সেই ভোটারই তখন ভোট দিয়েছেন কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন- প্রথম দিনেই ৪টি ভোটের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দম দেখালেন মোদী