নিজস্ব প্রতিবেদন: কুসংস্কার কতটা গভীর হতে পারে তার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল কর্ণাটকের মোরাব গ্রাম। এইচআইভি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গোটা একটি লেকের জলই বদলে ফেলতে শুরু করেছেন এই গ্রামের মানুষজন। লেকের আয়তনটা একটু বলে নেওয়া প্রয়োজন। কর্ণাটকের ধারওয়ার জেলার ওই লেকটি রয়েছে ৩৬ একর এলাকাজুড়ে। এলাকার মানুষজন ওই লেকেরই জল পান করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই', হুঙ্কার দিলীপের


কেন একরম সিদ্ধান্ত নিলেন গ্রামবাসীরা? জানা যাচ্ছে, ২৯ নভেম্বর ওই লেকের জলে ডুবে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক মহিলা। তিনি ছিলেন এইচআইভি আক্রান্ত। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় প্রবল গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ ঠিক করেন ওই লেকের জল আর পান করবেন না। কারণ এতে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে।


হুবলি-ধারওয়ার পুরসভার মেডিক্যেল অফিসার ডা প্রভু বিরাদার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এক এইচআইভি সংক্রমিত মহিলা ওই লেকের জলে ডুবে আত্মঘাতী হন। তার পর থেকেই ওই গ্রামের লোকজন পাম্প দিয়ে লেকের জল বের করতে শুরু করেছেন। এটা পুরো অবৈজ্ঞানিক। জলে ঢুবে কোনও এইডস রোগী আত্মঘাতী হলে সেই জলে এইচআইভি সংক্রমণ হয় না।


আরও পড়ুন-সিতাইয়ে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা, ভাঙল গাড়ির কাচ


অন্যদিকে, এলাকার পঞ্জায়েত ডেভলপমেন্ট অফিসার বি নাগরাজ কুমার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ২৯ নভেম্বর ওই মহিলার দেহ লেকের জলে ভেসে ওঠে। তার পরই গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নেন ওই জল পান করবেন না যতক্ষণ না পর্যন্ত লেকে নতুন জল ভর্তি করে দেওয়া হয়।


এরকম এক কানাঘুষো শোনার পরই পঞ্চায়েত আধিকারিক গ্রাম ছুটে যান। তিনি গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, এভাবে কোনও সংক্রমণ হয় না। তা মানেননি গ্রামবাসীরা। এখন তারা জল আনছেন ২-৩ কিলোমিটার দূর থেকে।