আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত কার্তি চিদাম্বরমের
সিবিআই ২০১৭ সালে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এরপর দু`বার সিবিআই ও ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অবশেষে বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধ ঘুষ নেওয়ার তথ্য তাদের হাতেই রয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই। এই মামলায় বুধবার কার্তিকে গ্রেফতার করেছে তারা। গ্রেফতার করার পর দিল্লির একটি বিশেষ আদালত প্রথমে কার্তি চিদাম্বরমকে ১ দিনের সিবিআই হেফাজের নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার ফের আদালতে পেশ করা হলে ৬ মার্চ পর্যন্ত তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পেল তদন্তকারী সংস্থাটি। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য, কার্তিকে ১৫ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে চেয়েছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে এফআইপিবি-র ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়ার কাছ থেকে ৩.৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। সেই সময় সংস্থাটির মালিকানা ছিল পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখার্জির হাতে। আদালতে সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, শুধু আইএনএক্স মিডিয়াই নয়, আরও কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও মোটা টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে কার্তির। এই মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কার্তি চিদাম্বরমের বাবা পি চিদাম্বরমের নাম উঠলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি সিবিআই।
আরও পড়ুন- কবে পাশ করেছেন মোদী? আদালতের দোহাই দিয়ে চুপ বিশ্ববিদ্যালয়
সিবিআই ২০১৭ সালে কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এরপর দু'বার সিবিআই ও ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অবশেষে বুধবার চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
কার্তির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সিবিআই-এর দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, এর আগেও বারবার কার্তিকে জেরা করেছে তারা। প্রত্যেকবারই তিনি সহযোগীতা করেছেন তদন্তকারীদের সঙ্গে।