নিজস্ব প্রতিবেদন— একটুও বদলায়নি কাশ্মীরের ছবি। ভূস্বর্গে এখনও জঙ্গির মৃত্যুতে বিক্ষোভ হয়। জঙ্গিনেতা মারা গেলে কাশ্মীরের জনগণের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর। বুধবার হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ জঙ্গিনেতা রিয়াজ নাইকুকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর থেকেই কাশ্মীরে আগুন জ্বলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয়েছে ইটবৃষ্টি। বিক্ষোভের নামে ভূস্বর্গে রীতিমতো নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের টার্গেট করছে সাধারণ মানুষ। ঠিক যেমনটা হয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিনের কম্যান্ডার বরুহান ওয়ানি এনকাউন্টারে খতম হওয়ার পর। এবারও সেই একই ছবি। কাশ্মীরের মানুষের জঙ্গি—প্রেম একটুও কমেনি। বরং আরও বেড়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জঙ্গি নেতার মৃত্যু হলেই কাশ্মীরের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই প্রবণতা নতুন নয়। বুরহান, নাইকুর মতো জঙ্গি নেতা মারা পড়লেই ভূস্বর্গের জনগণের রাগ গিয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। অথচ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যু হলে কাশ্মীরের জনগণের কোনও সহানুভূতি লক্ষ্য করা যায় না। কেন জঙ্গি নেতাদের প্রতি কাশ্মীরের জনগণের এত ভালবাসব, শ্রদ্ধা! কেন জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করলেই কাশ্মীরের জনগণের টার্গেট হয়ে যায় নিরাপত্তা বাহিনী! আট বছর ধরে হিজবুল মুজাহিদিনের জম্মু-কাশ্মীরের অপারেশনাল চিফ ছিল নাইকু। বুরহান মারা যাওয়ার পর নাইকু হয়ে ওঠে ডি ফ্যাক্টো কমান্ডার। কাশ্মীরের পুলিস জানিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই—এর মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত নাইকু।


আরও পড়ুন— রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক, অসুস্থ হাজার, মৃত আট


তাঁর মাথার দাম ছিল ১২ লাখ টাকা। উপত্যকার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। কখনও জম্মু-কাশ্মীর পুলিস কর্মীদের হত্যা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে তাঁদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করে হিজবুল মুজাহিদিন। আর এসব কাণ্ডে মূল পাণ্ডা ছিল নাইকু। 'অপারেশন জ্যাকবুট'-এর ছক কষে বুধবার নাইকুকে খতম করে কাশ্মীর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর একটি যৌথ দল। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গত কয়েকদিনে কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জঙ্গি দমন অভিযানের ছক কষেন।