নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অত্যাচার করে মিথ্যা বয়ান পেশের অভিযোগে তদন্তকারী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল আদালত। ২০১৮ সালে জম্মুতে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল ৮ বছরের নাবালিকাকে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৮ সালে জম্মুতে উপসনালয়ে ৮ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে পঞ্জাবের পাঠানকোটে চলে মামলার শুনানি। মঙ্গলবার জম্মুর বিচারবিভাগীয় বিচারক প্রেম সাগর তদন্তকারী দলের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ৬ জন হলেন জম্মু ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রাক্তন এসএসপি আরকে জাল্লা, পীরজাদা নবীদ (জম্মু ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত এসপি), শ্বেতাম্ভরী শর্মা (জম্মু ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি এসপি), নাসির হুসেইন (জম্মুর ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি এসপি), উরফান ওয়ানি (জম্মু ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাব-ইন্সপেক্টর) ও কেবল কিশোর (ক্রাইম ব্রাঞ্চ)।



আদালতের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের নির্যাতন বা জোর করে বিশাল জনগোত্রার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলানো হয়েছে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিস সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার রিপোর্ট দিতে হবে ৭ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন। আদালতের নির্দেশে বেকায়দায় পড়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। তারা আবেদন করতে চলেছে বলে খবর। 
                
কাঠুয়াকাণ্ডের চার্জশিট অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি জম্মুর কাঠুয়ায় ৮ বছরের নোমাদিক নাবালিকাকে উপাসনালয়ে আটকে রেখে ৪ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। তারপর পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় তার দেহ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় উপাসনালয়ের দেখভালকারী সঞ্জি রামকে। ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাটের ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে স্পেশাল পুলিস অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও প্রবেশ কুমার। প্রমাণ লোপাটে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ ও স্পেশাল পুলিস অফিসার সুরেন্দ্র বর্মা। চলতি বছর জুনে ৩ মূল  অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা আদালত। প্রমাণ নষ্টের দায়ে বাকি ৩ জনকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড। 


আরও পড়ুন- রামলীলা সংখ্যালঘুদের ভীত করে তোলে, শিশু পর্নের সঙ্গে তুলনা অভিনেতা প্রকাশ রাজের