নিজস্ব প্রতিবেদন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই ঠিক করে দিচ্ছে, কে অপরাধী? আর কে নির্দোষ? মিলছে যা ইচ্ছা লেখার স্বাধীনতাও। এমনকি কাউকে বিদ্রূপ করতেও ছাড়ে না নেটিজেনদের একাংশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই বিদ্রূপের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করলেন কেরলের এক চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য মৃত্যু হয়েছে ৭ বছরের এক শিশুর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরলের কোল্লাম জেলায় অনুপ অর্থো কেয়ার হাসপাতাল চালান অর্থোপেডিক ডাক্তার অনুপ কৃষ্ণ। বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। দেওয়ালে লেখা 'সরি'। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুপ কৃষ্ণের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭ বছরের শিশুকন্যাকে। শল্য চিকিৎসার সময় হৃদযন্ত্র বিকল হয়। তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অনুপের হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান পরিজনরা। তাঁর বিরুদ্ধে কোল্লাম ইস্ট থানায় দায়ের হয় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ।  সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপ করা হয় অনুপ কৃষ্ণকে। তার জেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, এখনই মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। এক সপ্তাহ আগে শিশুমৃত্যুর সঙ্গে যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  অনলাইনে তাঁকে হেনস্থা করার বিষয়টি দেখছে পুলিস। 


ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কেরল শাখার সহ-সভাপতি চিকিৎসক সুলফি নুহু ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন,''কোভিডের জেরে ওই শিশুকে সব হাসপাতালই প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু তা করেননি অনুপ কৃষ্ণ। দুর্ভাগ্যবশত সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লোক ক'টা টাকার জন্য চিকিৎসকে খুনি তকমা সেঁটে দিল। নিন্দেমন্দ করেই এরা জনপ্রিয়তা পায়। দিনের শেষে ওরা কিছু হারাল না। কিন্তু অনুপের ছেলে বাবাকে হারাল। স্বামীকে হারালেন স্ত্রী। আর যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়!


আরও পড়ুন- 'কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে কৃষি আইন বাতিল করে কৃষকদের বাঁচাব'